পঞ্চায়েত ভোট অনিশ্চিত, জেলায় জেলায় চলছে অশান্তি
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তি চলছেই। বর্ধমানের কুসুমগ্রামে এক বাম বিধায়ক সহ সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের হামলায় মাথা ফেটে গিয়েছে ওই বিধায়কের। মালদায় প্রচারে গিয়ে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়েন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। তাঁদের সভার অদূরেই বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তি চলছেই। বর্ধমানের কুসুমগ্রামে এক বাম বিধায়ক সহ সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের হামলায় মাথা ফেটে গিয়েছে ওই বিধায়কের। মালদায় প্রচারে গিয়ে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়েন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। তাঁদের সভার অদূরেই বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
দেওয়াল লিখনকে ঘিরে অশান্তির জেরে মারধর করা হল বিধায়ককে। বর্ধমানের কুসুমগ্রামে দেওয়াল লিখন নিয়ে সিপিআইএম এবং তৃণমূল বাদানুবাদে জ়ড়িয়ে পড়ে। সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিবাদে বাম কর্মী সমর্থকরা পথ অবরোধ করেন। সেইসময় সিপিআইএম বিধায়ক চৌধুরী মহম্মদ হিদায়েতুল্লা ঘটনাস্থলে গেলে, তৃণমূলের লোকজন তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। আরও কয়েকজন বাম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারেও। মাথাভাঙার ছাটখাটেরবাড়ি গ্রামে দলীয় কর্মসূচি সেরে ফিরছিলেন কয়েকজন সিপিআইএম কর্মী। অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু লোক লাঠি, রড নিয়ে সিপিআইএম কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করে। আহত বাম কর্মীদের চিকিত্সার জন্য কোচবিহার ও মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথাভাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক এবং এসইউসিআই নেতা নন্দ পাত্র দলের কর্মীদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিরির বাজার এলাকায় যান। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের বাইক বাহিনী তাঁদের ওপর হামলা চালায়। প্রচারের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আহত নন্দ পাত্রকে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম হাসপাতালে।
মালদার চাঁচোলে চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। স্থানীয় একটি স্কুলমাঠে যখন তাঁদের নির্বাচনী সভা চলছিল, তখন অদূরেই বোমাবাজি শুরু হয়। ঘটনার পর বিশাল পুলিসবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় তল্লাসি। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের আগে তাদের সভা বানচাল করতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে কংগ্রেস।