ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই মন্দারমণিতে রমরমিয়ে চলছে প্যারাসেলিং ব্যবসা
মন্দারমণিতে প্যারাসেলিং কাণ্ডে সামনে আসছে একের পর এক দুর্নীতি। পুলিস-প্রশাসনের মদতেই রমরমা বেড়েছে ব্যবসার। তদন্তে জানা গেছে প্যারাসেলিং ব্যবসায় যুক্ত ছটি সংস্থারই কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। তারপরেও কীভাবে চলছিল এই ব্যবসা, তানিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
প্যারাসেইলিং। মন্দারমণি সমুদ্র সমুদ্র বেড়াতে আসা পর্যটকদের রোমাঞ্চকর স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চার। যার পুরোটাই বেআইনি। যে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে আমলা পর্যন্ত। অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সাংসদ শিশির অধিকারীও। ঝুঁকিবহুল এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস চালাতে কী কী নিয়ম মানতে হয় আসুন শুনে নেওয়া যাক-
প্যারেসিলংয়ের ক্ষেত্রে ট্রেনারদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। তিনশো ঘণ্টা আকাশে ওড়ার দক্ষতা থাকতে হয়। দেশের চারটি বিশেষ ইন্সটিটিউটে এই ট্রেনিং দেওয়া হয়। ট্রেনিং শেষে সার্টিফিকেট, লগবুক দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
প্যারাসেইলিং ব্যবসা চালানোর ট্রেড লাইসেন্স নেই মূল অভিযুক্ত বেঙ্গল অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের মালিক সত্যরঞ্জন খাটুয়ার। তার দায় অবশ্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কাঁধেই ঠেলেছেন সত্যরঞ্জন।
প্যারাসাইলিং কাণ্ডের তদন্তে সামনে এসেছে চিটফান্ড যোগ। মন্দারমণিতে মোট ছটি সংস্থা প্যারাসেলিং করায়। তদন্তে জানা যাচ্ছে ছটি সংস্থার কারোরই কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। এরমধ্যে দুটির মালিক রোজভ্যালি ও সিলিকন গ্রুপ।বেঙ্গল অ্যাডভেঞ্চার্সকেও নিয়ন্ত্রণ করত সিলিকন গ্রুপ।
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। পুলিস প্রশাসনের নাকের ডগায় কী ভাবে দিনের পর দিন কীভাবে রমরমিয়ে চলল এই বেআইনি ব্যবসা? পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিডিও, পুলিসের পদস্থ কর্তা,সবাই সব কিছু জেনেও কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না? তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভুত?