পিংলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চেন্নাই যোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃতের সংখ্যা ১২

পিংলায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে চেন্নাই যোগ পাওয়া গেল। বিস্ফোরণস্থল থেকে চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের নামে প্রচুর আধারকার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে চেন্নাইয়ের পেরামপুরের এক দোকানের রসিদ। রসিদগুলি মূলত সানগ্লাস ও হেলমেটের। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআইডি ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। দলটি পিংলা পৌঁছে গেছে।

Updated By: May 7, 2015, 04:01 PM IST
পিংলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চেন্নাই যোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃতের সংখ্যা ১২

ডেস্ক: পিংলায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে চেন্নাই যোগ পাওয়া গেল। বিস্ফোরণস্থল থেকে চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের নামে প্রচুর আধারকার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে চেন্নাইয়ের পেরামপুরের এক দোকানের রসিদ। রসিদগুলি মূলত সানগ্লাস ও হেলমেটের। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআইডি ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। দলটি আজই পিংলা যাচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক বাজার থেকে গ্রেফতার বেআইনি বাজি কারখানার মালির রঞ্জন মাইতি। পুলিস সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় বেআইনি বাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সরকারী মতে, মৃত্যু দশজনের। বেসরকারী মত অবশ্য নিহতের সংখ্যা  কুড়ি জনেরও বেশি। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম  তিনজন হাসপাতালে ভর্তি।  

বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ হঠাতই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে জামনা দুই নম্বর পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণবাড় গ্রাম। এলাকাবাসীর  অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জন মাইতি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বেআইনি কারখানাটি চালাতেন। কারখানাটিতে বাজির পাশাপাশি বোমাও তৈরি  হত বলে অভিযোগ । কারখানা মালিক রঞ্জন মাইতির সঙ্গে এই বেআইনি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন রাম মাইতিও। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে রাম মাইতি, তার স্ত্রী এবং  ছেলেরও।
তবে পিংলায় বিস্ফোরণের জেরে কাঠগড়ায় পুলিসও। বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে বারবার  পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।   বিস্ফোরণের তীব্রতায় এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এমনকী কারখানা থেকে একশো মিটার দূরে ছিন্নভিন্ন দেহাংশ ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি  গ্রামবাসীদের। কারখানা চত্বরে গাছে গাছে ঝুলছে দেহাংশ।

ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিংলা থানার পুলিস। পরিস্থিতি সামলাতে পরে  বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিস সুপার। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিডিও, এসডিও।  গ্রামবাসীদের অভিযোগ গোটা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌছে গেছেন সিআইডি-র খড়্গপুরের ইউনিট, ভবানীভবন থেকে বোমা বিশেষজ্ঞরা।  পুরুলিয়া থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আইজি পশ্চিমাঞ্চল। দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে কারখানাটি। অধিকংশ শ্রমিকই ৮ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।

.