পিংলায় এখন শ্মশানের স্তব্ধতা
আজও আতঙ্কের আবহে দিন কাটাল পিংলার ব্রাহ্মণবাড়। আশঙ্কিত গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, এখনও চলছে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। পুলিসেরই সাহায্যে বোমার মালমশলা সহ বহু জিনিস পাচার করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
ওয়েব ডেস্ক: আজও আতঙ্কের আবহে দিন কাটাল পিংলার ব্রাহ্মণবাড়। আশঙ্কিত গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, এখনও চলছে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। পুলিসেরই সাহায্যে বোমার মালমশলা সহ বহু জিনিস পাচার করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
মৃত্যুস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে কেই বা ভাল থাকতে পারে! ভাল নেই ব্রাহ্মণবাড়ও। চারদিকে শ্মশানের স্তব্ধতা। এখানে-ওখানে জটলা। তাতেও আলোচনার বিষয় একটাই। একটা বিস্ফোরণ কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা গ্রামটাকে। বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা বাধার অভিযোগ আগেও করেছেন গ্রামবাসীরা। এবার অভিযোগ, চেষ্টা চলছে প্রমাণ লোপাটের। শুক্রবার সকালে গ্রামেরই একটি পুকুরে বস্তা ভাসতে দেখা যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, ভিতরে ছিল বোমার খোল।
পুলিসের জালে ধরা পড়েছে রঞ্জন মাইতি। কিন্তু তাঁর ভাইয়েরা? তাঁদের কী হবে?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের আড়াল করছে পুলিসই। গ্রাম থেকে উধাও রঞ্জন মাইতির স্ত্রী-সন্তানরা। কিন্তু গ্রামেই এখনও রয়ে গেছেন তার মা। ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। আগাগোড়া অনড় রইলেন এই দাবিতেই।
বিস্ফোরণ নিয়ে চাপানউতোর যতই চলুক না কেন, কাটছে না আতঙ্কের রেশ। সেই ছবিই ধরা পড়েছে পিংলার এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। আতঙ্কে বহু পড়ুয়াই স্কুলে পা রাখেনি। যারা এসেছিল, তাদের চোখেমুখেও ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। এমনকি শনিবার স্কুলে যে পচিশে বৈশাখের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।