অগ্নিগর্ভ পাড়ুই, মাস্কেটবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু কিশোরের

পাড়ুইয়ে ফের আক্রান্ত পুলিস। পাড়ুইয়ের মাকড়া গ্রামে পুলিসকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি ও বোমাবাজি। অ্যাডিশনাল এসপি-র নেতৃত্বে পাড়ুইয়ের রোঘাইপুরে অভিযানে যাচ্ছিল পুলিস।ওই গ্রামেই লুকিয়ে রয়েছে পাড়ুই থানার ওসির ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা। রোঘাইপুরের ঠিক আগে মাকড়াগ্রামে পৌছতেই পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা ছোঁড়া হয়, চলে গুলিও। গ্রামে ঢুকতে পারেনি পুলিস। চেয়ে পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।

Updated By: Oct 27, 2014, 04:29 PM IST
অগ্নিগর্ভ পাড়ুই, মাস্কেটবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু কিশোরের

ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পাড়ুই। মাস্কেটবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু কিশোরের। বাড়িতে বাড়িতে আগুন, লুঠপাট। আক্রান্ত পুলিস ও সংবাদমাধ্যমও।  ঘটনার সূত্রপাত আজ সকালে।  পাড়ুইয়ের  ওসির ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে রোঘাইপুরে  অভিযানে যাচ্ছিল পুলিস। নেতৃত্বে ছিলেন  অ্যাডিশনাল এসপি আনন্দ রায়। রোঘাইপুরের ঢোকার ঠিক মুখে মাকড়ায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে মাস্কেটধারী দুষ্কৃতীরা,চলে গুলিও। 

গুলি লাগে  সুলেমান নামে এক কিশোরের গায়ে। মৃত্যু হয় তাঁর। জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাবি নিহত সুলেমান তৃণমূল সমর্থক। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি অনুব্রত মণ্ডলের। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি,মাস্কেটধারী দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত।

মাকড়ায়  মাস্কেটবাহিনী যখন তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন গ্রামেই ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি আনন্দ রায় ও বোলপুরের SDPO সূর্যপ্রতাপ যাদব। বোমাবাজি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামে পৌছেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে গ্রামের মোড়ে গাছতলায় বসেই সময়টা কাটান তাঁরা।আর সেই সুযোগে  মাকড়ায় দাপিয়ে বেড়ায় মাস্কেট বাহিনী। ঘরে ঘরে ঢুকে চলে লুঠপাট, মহিলাদেরও নিশানা করে দুষ্কৃতীরা।  প্রায় তিনঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে মাস্কেটবাহিনী গ্রাম ছাড়ার পরই  মাকড়ায় ঢোকে পুলিস। পৌছয়  রাফ ও কমব্যাট ফোর্স। গ্রামে ঢুকে আহতদের উদ্ধার করে পুলিস। গুরুতর আহত দুজনকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে  এএসপি ও SDPO  ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও পুলিস কেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল ? কার নির্দেশে পুরো সময়টা নিষ্ক্রিয় রইল পুলিস?
 

.