পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে সিঙ্গুরে ফের গুরু-শিষ্য সংঘাত
পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে এবার নাম লেখাল সিঙ্গুরও। নাম জড়াল, দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার। হুগলি জেলা পরিষদের একটি আসনের প্রার্থীপদ নিয়ে রবিবার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান বেচারাম মান্নার অনুগামীরা। যদিও সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই একে বিক্ষোভ বলে মানতে নারাজ।
পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে এবার নাম লেখাল সিঙ্গুরও। নাম জড়াল, দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার। হুগলি জেলা পরিষদের একটি আসনের প্রার্থীপদ নিয়ে রবিবার রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান বেচারাম মান্নার অনুগামীরা। যদিও সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই একে বিক্ষোভ বলে মানতে নারাজ।
সিঙ্গুরে ফের গুরু-শিষ্য সংঘাত!
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ বেচারাম মান্না অনুগামীদের। প্রার্থীপদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ
বিতর্কের কেন্দ্রে হুগলি জেলা পরিষদের পাঁচ নম্বর আসনটি। বিতর্ক দুই প্রার্থীকে ঘিরে।
হুগলি জেলা পরিষদের পাঁচ নম্বর আসনের জন্য এবার তৃণমূলের প্রতীক পেয়েছেন, মানিক দাস। মানিক দাস আগে বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বর্তমানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কাছের লোক। বর্তমান জেলা পরিষদেরও সদস্য তিনি। যদিও, বেচারাম মান্নার পছন্দের প্রার্থী নিমাইচরণ মালিক।
স্থানীয় রাজনীতিতে বেচারাম মান্নার প্রতিপত্তি বাড়ার পর, তাঁর দিকে ঝুঁকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নির্বাচনী এজেন্ট নিমাইচরণ মালিক। সিঙ্গুর ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চয়েতের অধিকাংশ আসনেই এবার বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠরাই তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন।
নিমাইচরণ মালিকের মনোনয়ন নিশ্চিত ধরে নিয়েই তাঁর নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মানিক দাসকেই মনোনীত করেছেন। তাই নিয়েই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেচারাম মান্না ঘনিষ্ঠরা।
ব্যক্তিগতভাবে মানিক দাসের মনোনয়নকে সমর্থন করেছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য নিজেও। যুক্তি হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন বেচারাম মান্নার স্ত্রীর দ্বিতীয়বার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি।
যদিও প্রার্থীপদের অপছন্দকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভকে কোনওমতেই বিক্ষোভ বলতে রাজি নন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই।