তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই

সিঙ্গুরে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা করা দূরের কথা, সিঙ্গুরে গিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুর নাম একবারের জন্যেও মুখে আনেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং বুঝিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আর বেচারাম মান্নার দ্বৈরথে তিনি বেচারাম মান্নার পক্ষেই রয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পরেই রবীন্দ্রনাথবাবু মন্ত্রীত্ব এবং বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। আরও একবার স্পষ্ট করে দেন নিজের অনড় অবস্থান।

Updated By: Nov 30, 2012, 09:39 PM IST

সিঙ্গুরে প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা করা দূরের কথা, সিঙ্গুরে গিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুর নাম একবারের জন্যেও মুখে আনেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং বুঝিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আর বেচারাম মান্নার দ্বৈরথে তিনি বেচারাম মান্নার পক্ষেই রয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পরেই রবীন্দ্রনাথবাবু মন্ত্রীত্ব এবং বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। আরও একবার স্পষ্ট করে দেন নিজের অনড় অবস্থান।
শুক্রবার সিঙ্গুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সচেতন ভাবে বুঝিয়ে দেন, তাঁর সমর্থন কার পক্ষে। একবারের জন্যেও মুখে আনেননি সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইের নাম। মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর ছাড়ার পরই তাই তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। দলের প্রতি ক্ষোভ বা নেত্রীর প্রতি অভিমান, কোনওটাই যাতে সামনে না আসে, সে চেষ্টা আগাগোড়া করে গিয়েছেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণায় কোথাও যেন লুকিয়ে ছিল অভিমানের সুরই।     
সিঙ্গুর আন্দোলনের মুখ হিসেবে পরিচিত তিনি। সেই সিঙ্গুর যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার অন্যতম কারণ। সেখানে আজ দলনেত্রীর কাছে, দলের কাছে অবজ্ঞার পাত্র হয়ে ওঠাই কী রাজনীতি থেকে সরে আসার আসল কারণ? এর পাশাপাশি, দলেরই একাংশের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মতো মারাত্মক অভিযোগ তুলে সরে গেলেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রবীন্দ্রনাথবাবু। রাজনৈতিক মহলের মত, তাঁর এভাবে সরে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সততার প্রতীক ভাবমূর্তির সামনে বড় প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেল।  

.