বন্ধ কারখানা খোলা সহ ছয় দফা দাবিতে রেল অবরোধ শ্রমিকদের
রাজ্যের বন্ধ কলকারখানা খোলা সহ ছয় দফা দাবিতে রেল রোকো আন্দোলন। হিন্দমোটর , ব্রেস ব্রিজ, বাউড়িয়া এবং কল্যাণী স্টেশনে অবরোধে সামিল হন বন্ধকারখানা ও অসংগঠিত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। হিন্দমোটরে পুলিসের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। দিনের ব্যস্ত সময়ে অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ,রাজ্যে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও, শাসকদল নির্বিকার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গেরও অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিকরা।
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের বন্ধ কলকারখানা খোলা সহ ছয় দফা দাবিতে রেল রোকো আন্দোলন। হিন্দমোটর , ব্রেস ব্রিজ, বাউড়িয়া এবং কল্যাণী স্টেশনে অবরোধে সামিল হন বন্ধকারখানা ও অসংগঠিত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। হিন্দমোটরে পুলিসের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। দিনের ব্যস্ত সময়ে অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ,রাজ্যে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও, শাসকদল নির্বিকার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গেরও অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিকরা।
যে দাবিতে আজকের রেল রোকো আন্দোলন সেগুলি ছিল ১) সমস্ত বন্ধ কারখানা খুলতে হবে। ২) বন্ধকারখানার শ্রমিকদের মাসিকভাতা ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা করতে হবে। ৩) ভাতা দেওয়ার উর্দ্ধসীমা ৫৮ বছর বাতিল করতে হবে। ৪) বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের বিপিএল কার্ড দিতে হবে। ৫) বন্ধ কারখানার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের চিকিৎসা ও শিক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। ৬) অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ও পরিচয় পত্র দিতে হবে।
কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য অজস্র শ্রমিক তাঁদের বকেয়া বেতন, পিএফ, গ্র্যাচুইটির পাননি। আইনের বেড়া জালে আটকে দেওয়া হয়েছে তাঁদের ন্যায্য পাওনা। রাজ্যসরকার সেই আইনের দোহাই দিয়েই ভীষণ রকম নিশ্চুপ। ২০১১ সালে পালাবদলের নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইস্তেহারে বন্ধ কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃনমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ঠিক উল্টো ছবি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার ৪বছর পরেও খোলেনি একটাও বন্ধ কারখানা। উল্টে প্রায় রোজ বন্ধ হচ্ছে একটি করে কারখানা। শ্রমিকদের দাবি দীর্ঘদিন বহু অনুরোধের পরেও তাঁদের সমস্যার বিন্দুমাত্র সুরহা না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁরা আজ রেল রোকোর পথে হেঁটেছেন।