'রাধিকা ও কৃষ্ণের নৃত্যগীতি'তে সেজে উঠেছে রাশ উত্সব
রাধিকা ও কৃষ্ণের নৃত্যগীতির স্মরণই রাশ উত্সব নামে পরিচিত। তবে শ্রীচৈতন্যের নবদ্বীপের রাস কিন্তু ব্যতিক্রমী। এখানের রাশ উত্সব আরাধনা হয় শাক্ত দেবদেবীর।
ওয়েব দেশক: রাধিকা ও কৃষ্ণের নৃত্যগীতির স্মরণই রাশ উত্সব নামে পরিচিত। তবে শ্রীচৈতন্যের নবদ্বীপের রাস কিন্তু ব্যতিক্রমী। এখানের রাশ উত্সব আরাধনা হয় শাক্ত দেবদেবীর।
রাশ উত্সব নবদ্বীপের, শান্তিপুরের মানুষের কাছে দুর্গাপুজোর চেয়েও আকর্ষণীয়। এ উত্সবের সূচনা সেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে। নবদ্বীপের পণ্ডিতরা দুর্গা পূজো, লক্ষ্মী পূজো উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতেন। নিজের বাড়িতে আর পূজো করা হতোনা। কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে সেই পুজো শুরু হয় রাশ পূর্ণিমায়। আদতে নবদ্বীপের রাস শাক্ত ও বৈষ্ণব ধর্মের মিলন উত্সব।
লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে মাতোয়ারা নবদ্বীপ, শান্তিপুর। মণ্ডপে মণ্ডপে মূর্তিও দেখার মত। বিশাল বিশাল। এখানকার প্রথা অনুযায়ী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে কাঠামো তৈরি হয়। রাশের প্রতিমাগুলি বসানো থাকে বড় বড় চাকা লাগানো লোহার গাড়ি ওপর। এই গাড়ি করে বার হয় রসের শোভা যাত্রা। এই রাস উত্সবেই মেতে উঠেছে চৈতন্যের বৈষ্ণবধাম।