"হিংসার বদলে হিংসা নয়," সব রাজনৈতিক দলের কাছেই এই আবেদন জানালেন বর্ধমানে নিহত সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা-এর মেয়ে পৃথা। তাঁর আর্জি, খুনোখুনি বন্ধ হোক। বন্ধ হোক খুনের এই রাজনীতি।
বুধবার নৃশংস খুনের ঘটনার সাক্ষী ছিলো বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি। প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করা হয় প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা ও বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য কমল গায়েনকে। তীব্র আতঙ্ক আর রাজনৈতিক অস্থিরতাই এখন রাতদিনের সঙ্গী দেওয়ানদিঘির স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাজ্যের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতাদের গলায় এখন চ্যালেঞ্জ- পাল্টা চ্যালেঞ্জের সুর। কিন্তু সদ্য পিতৃহারা পৃথা তা জানালেন হিংসার বদলে হিংসা নয়।
বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে। তারপর বুধবার সকালে যখন বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা, তখন বাবাকে বাড়ি না ফেরার জন্য ফোনও করেন পৃথা।
বেলা ১২টা নাগাদ বাবার মৃত্যুর খবর প্রথম জানতে পারেন পৃথা। তারপর থেকেই পাল্টে গেছে পৃথার গোটা দুনিয়াটাই। এরইমধ্যে মায়ের হাত শক্ত করে ধরে, বাবার শোকমিছিলে পা মিলিয়েছেন তিনিও।
কেন এভাবে চলে যেতে হল প্রদীপ তা ও কমল গায়েনকে! সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক কারণ সামনে আনা হচ্ছে। সিপিআইএমের দাবি নৃশংসভাবে খুন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পৃথাও এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
একরাশ অভিমান। বাবার খুনিদের জন্য অসংখ্য ঘৃণা। কিন্তু সবকিছু দুরে সরিয়ে রেখে পৃথার এখন একটাই আর্জি। বন্ধ হোক এই খুনের রাজনীতি।
"হিংসার বদলে হিংসা নয়," আবেদন জানালেন সদ্য পিতৃহারা পৃথা তা