সাবোতাজ হচ্ছে CPIM-এর ভিতরে, গুরুতর অভিযোগ পুরুলিয়া জেলা সম্মেলনে
সাবোতাজ হচ্ছে CPIM-এর ভিতরে। দলের ভেতর থেকেই একটা অংশ হাত মেলাচ্ছে অন্য দলের সঙ্গে। গুরুতর এই অভিযোগ ঘিরে সরগরম CPIM পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন। দুশ্চিন্তার কথা লিখিতভাবে উঠে এসেছে জেলা সম্মেলনের খসড়া সাংগঠনিক রিপোর্টে।
ওয়েব ডেস্ক: সাবোতাজ হচ্ছে CPIM-এর ভিতরে। দলের ভেতর থেকেই একটা অংশ হাত মেলাচ্ছে অন্য দলের সঙ্গে। গুরুতর এই অভিযোগ ঘিরে সরগরম CPIM পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন। দুশ্চিন্তার কথা লিখিতভাবে উঠে এসেছে জেলা সম্মেলনের খসড়া সাংগঠনিক রিপোর্টে।
জেলায় জেলায় তৃণমূলের অনেক নেতা তলেতলে যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। এমন কথা শোনা যাচ্ছে।পিঠ বাঁচাতে দলে দলে CPIM কর্মী সমর্থক তৃণমূল কিংবা BJP তে যাচ্ছেন, এটাও নতুন কিছু নয়। কিন্তু, একসময় মিথ হয়ে ওঠা CPIM-এর সাংগঠনিক স্ট্রাকচারের মধ্যে সাবোতাজ? হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে পুরুলিয়ায়। এবং দলের পক্ষে উদ্বেগজন এই তথ্য উঠে এল CPIM-এর পুরুলিয়া জেলা সম্মেলনে গৃহীত সাংগঠনিক রিপোর্টেই। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, দলীয় কর্মীদের একাংশ হয় বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছে অথবা গোপনে বিরোধীদের সাহায্য করছে।
দলের কর্মীসংখ্যা যে ক্রমশ কমছে খসড়া দলিলে সেকথা মেনে নিয়েছে CPIM-এর পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন। এজন্যও দায়ী করা হয়েছে নেতৃত্বকেই। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, দলের নীচুতলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি কার্যকর করার কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। যার জেরে নীচুতলার কর্মীরা ক্রমশ আন্দোলন বিমুখ হয়ে পড়েছেন। দলিলে লেখা হয়েছে, জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা নেই যেসব নেতার, তাঁরাই এখন নেতৃত্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় স্তরে ঘটা করে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি ঘোষণা হলেও, বহুক্ষেত্রেই দলের নিম্নস্তরে তা কার্যকর করা হয়নি। চাঁচাছোলা এই আত্মসমালোচনা যেখানে, CPIM-এর সেই পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন ঘিরেও অবশ্য দানা বেঁধেছে বিতর্ক। জেলা সম্মেলনের পর পঞ্চান্নজনের যে জেলা কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে মাওবাদী প্রভাবিত ব্লকগুলি থেকে যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব নেই। এর জেরে অসন্তুষ্ট জেলা নেতৃত্বের একাংশ।