এখনও থমথমে সালুয়া, সরানো হল সিআইএফ ক্যাম্প
ইএফআর জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর, সালুয়া থেকে সরানো হল সিআইএফ ক্যাম্প। আপাতত মেদিনীপুর পুলিস লাইনে থাকবেন সিআইএফ জওয়ানরা। তাঁদের অস্থায়ী ক্যাম্পের জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
ইএফআর জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর, সালুয়া থেকে সরানো হল সিআইএফ ক্যাম্প। আপাতত মেদিনীপুর পুলিস লাইনে থাকবেন সিআইএফ জওয়ানরা। তাঁদের অস্থায়ী ক্যাম্পের জায়গা খোঁজা হচ্ছে। বাহিনীর সদর দফতরের জন্যেও পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল ঘেঁষা জায়গার খোঁজ চলছে। কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স বা সিআইএফ এবং ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস ইএফআর। ২ বাহিনীর জওয়ানদের সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সালুয়া।
ইএফআর ক্যাম্পের এক কিশোরির শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে কদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। বৃহস্পতিবার তা চরম আকার নেয়। দুপক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ইএফআর জওয়ানরা সিআইএফ ক্যাম্পে ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সিআইএফ জওয়ানদের। বিষয়টি নিয়ে রাতে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নিরাপত্তার কারণে সিআইএফ জওয়ানদের আপাপত মেদিনীপুর শহরের পুলিস লাইনে রাখা হবে। সেইমতো শুক্রবার সকালে ক্যাম্প থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যান জওয়ানরা। সিআইএফ জওয়ানরা সরে যাওয়ার পর শুক্রবার সালুয়ায় নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
জওয়ানদের অস্থায়ী ক্যাম্পের জন্য জায়গার খোঁজ চলছে। বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প এবং সদর দফতরের জন্যও জায়গার খোঁজ শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলঘেঁষা কোনও জায়গাতেই স্থায়ী ক্যাম্প ও সদর দফতর করতে চান বাহিনীর কর্তারা। কারণ মাওবাদী মোকাবিলার জন্যই কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর জন্য তাদের মাওবাদী উপদ্রুত এলাকার কাছাকাছি থাকা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, বাহিনীর জওয়ানদের প্রশিক্ষণ ও মহড়ার জন্যও জঙ্গলের কাছাকাছি থাকা প্রয়োজন। কারণ মূলত জঙ্গলের পরিবেশে যুদ্ধের জন্যই তৈরি করা হয়েছে কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স।