সৈকত উত্সবে মুখ্যমন্ত্রী, বঞ্চনায় ক্ষোভ শঙ্করপুরে
আজ দীঘায় সৈকত উত্সবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ দিন ধরে চলবে এই উত্সব। এদিন উত্সবের উদ্ধোধন করে দীঘাকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ দীঘায় সৈকত উত্সবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ দিন ধরে চলবে এই উত্সব। এদিন উত্সবের উদ্ধোধন করে দীঘাকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সৈকত উত্সবের উদ্ধোধন করতে গতকালই দীঘায় পৌঁছেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে সমুদ্র সৈকত। উত্সব উপলক্ষে দিঘার বিভিন্ন হোটেল এবং হলিডে হোমগুলি সাজানো হয়েছে। আজ সমুদ্র উত্সবের উদ্বোধনের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন ওয়াটার স্পোর্টসেরও সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু উত্সবের তাল কেটেছে সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়েকের অভিযোগে। তাঁর অভিযোগ, দীঘা-শঙ্করপুর নামে পর্ষদ হলেও শঙ্করপুরকে বাদ দিয়েই উত্সব হচ্ছে। দীঘা কিংবা মন্দারমণির হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বললেও উত্সবে আমন্ত্রণ পাননি শঙ্করপুরের কোনও হোটেল ব্যবসায়ী কিংবা স্থানীয় বাসিন্দারা। দীঘা, মন্দারমণির পর্যটন ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বদেশরঞ্জনবাবুর অভিযোগ যে এই সব কিছু থেকেই বাদ রাখা হচ্ছে শঙ্করপুরকে।
দীঘায় সমুদ্র উত্সবে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অন্যদিকে, সমুদ্র ভাঙনে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম। অভিযোগ দীঘার আশেপাশের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিঘাকে গোয়া করার উদ্যোগ ভালো। সমুদ্র উত্সব নিয়েও আপত্তি নেই। কিন্তু, তার আগে সরকার যদি সমুদ্রবাঁধগুলি মেরামতি করতেন, তাহলে কিছু গরিব মানুষকে ভিটেমাটি হারা হতে হত না।
নিকাশি নালা বন্ধ করেই নিউ দীঘায় চলছে সৈকত উত্সব। মূল উত্সবস্থলের পাশ দিয়েই গিয়েছে নিউ দীঘা ও বড়াল গ্রামের নিকাশি নালা। উত্সবের সময় সাধারণ মানুষের চলাচল ও সৌন্দর্যায়নের স্বার্থে তা বালির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে উত্সবের কদিন গোটা নিউ দীঘা এলাকার বর্জ্য জল থাকতে চলেছে সেই এলাকাতেই। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হলেও প্রশাসন নির্বিকার। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সৌমেন পালের দাবি, নিকাশি নালা বন্ধ থাকলে বিশেষ অসুবিধে হয় না।