জামুড়িয়ায় শ্যাম সেল কারখানায় তৃণমূলের দাদাগিরিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ কর্তৃপক্ষ
জামুড়িয়ায় শ্যাম সেল কারখানায় তৃণমূলের দাদাগিরিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন কর্তৃপক্ষ। চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। জানানো হয়েছে শিল্পমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যা চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। যদিও রাজ্যে শিল্পের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ইতিবাচক পদক্ষেপ করবেন বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
জামুড়িয়া: জামুড়িয়ায় শ্যাম সেল কারখানায় তৃণমূলের দাদাগিরিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন কর্তৃপক্ষ। চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। জানানো হয়েছে শিল্পমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যা চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। যদিও রাজ্যে শিল্পের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ইতিবাচক পদক্ষেপ করবেন বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
বর্ধমানের জামুড়িয়ায় শ্যাম সেল ইস্পাত কারখানা। প্রায় শুনশান কারখানা চত্বর। বন্ধ আশি শতাংশ উত্পাদনের কাজ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এভাবে চললে আর চার-পাঁচ দিনেই বন্ধ করে দিতে হবে কারখানা।
কেন এই পরিস্থিতি?
স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা অলোক দাস ও চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক নিয়োগ থেকে শুরু করে রেল সাইডিংয়ে মাল ওঠানো নামানো। কারখানার বিভিন্ন কাজে বাধা দিচ্ছে ওই দুই নেতা।
কর্তৃপক্ষের দাবি, এর জেরে আটকে যাচ্ছে কাঁচামাল। এমনকি উত্পাদিত পণ্যও সময়ে বের করা যাচ্ছে না। ফলে উত্পাদন ইতিমধ্যেই পঞ্চাশ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। বিষয়টি জানানো হয়েছে শিল্পমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীকেও। বুধবার লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত এফআইআর দায়ের করেনি জামুড়িয়া থানা। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সমস্যা সমাধানে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখছেন কর্তৃপক্ষ।
একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানা। রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যত্ প্রশ্নের মুখে। শ্যাম সেল কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখলেও তৃণমূলের দাদাগিরি কতটা কমবে, তা নিয়ে সন্দিহান শিল্পমহল।