ন্যাড়া হয়েও শেষরক্ষা হল না শ্যামলের
পুলিসের চোখে ধুলো গিতে ন্যাড়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গতরাতে রামপুরহাট থেকে ধরা পড়ে গেল বামনগাছি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার। সঙ্গে তার শাগরেদ তোতাও।
পুলিসের চোখে ধুলো গিতে ন্যাড়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গতরাতে রামপুরহাট থেকে ধরা পড়ে গেল বামনগাছি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার। সঙ্গে তার শাগরেদ তোতাও। গতকাল আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শ্যামলের।
কলকাতার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা। এরপর পুলিসের নজর এড়াতে তারাপীঠে গা ঢাকা দিয়েছিল শ্যামল। সোমবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে ধৃত শ্যামল শাগরেদদের থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরই শুরু হয় অভিযান। নেতৃত্বে জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ভাস্কর মুখার্জি। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারাপীঠে সাদা পোশাকে ছড়িয়ে পড়েন পুলিসকর্মীরা। বিকেলেই ভোল বদলানো শ্যামলকে চিহ্নিত করে পুলিস। রাতে রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার।
পুলিসের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে শ্যামল। তবে সেদিন সৌরভ বা অন্য কেউই তার টার্গেট ছিল না বলে দাবি শ্যামলের। পুলিস জানিয়েছে, রামপুরহাট থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে ফেলে শ্যামল। ইতিমধ্যেই বাকি ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিস। শ্যামলের থেকে সেই বক্তব্যগুলি যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার। বুধবার বারাসত আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান কুলবেড়িয়ার বাসিন্দারা।