দক্ষিণ দিনাজপুরকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে রাজ্য সরকার
গত পাঁচ বছরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাস্তাঘাট নির্মাণ, কৃষকদের জন্য কিষাণমান্ডি নির্মাণ, কলেজ তৈরি, পানীয় জলের সরবরাহ, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন দাবি করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার ৮ টি ব্লকের মধ্যে ৭ টি ব্লকেই কৃষকদের জন্য কিষাণমান্ডি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। হরিরামপুর ব্লকের কিষাণমান্ডির নির্মাণ কাজ অতি সম্প্রতি শুরু হয়েছে। জেলার হিলি, বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি ও বংশীহাড়ি ব্লকের কিষাণমান্ডি ইতিমধ্যে চালুও হয়ে গিয়েছে। কিষাণমান্ডিতে পাইকারি বাজারও নিয়মিত বসছে।
ওয়েব ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাস্তাঘাট নির্মাণ, কৃষকদের জন্য কিষাণমান্ডি নির্মাণ, কলেজ তৈরি, পানীয় জলের সরবরাহ, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন দাবি করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার ৮ টি ব্লকের মধ্যে ৭ টি ব্লকেই কৃষকদের জন্য কিষাণমান্ডি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। হরিরামপুর ব্লকের কিষাণমান্ডির নির্মাণ কাজ অতি সম্প্রতি শুরু হয়েছে। জেলার হিলি, বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি ও বংশীহাড়ি ব্লকের কিষাণমান্ডি ইতিমধ্যে চালুও হয়ে গিয়েছে। কিষাণমান্ডিতে পাইকারি বাজারও নিয়মিত বসছে। জেলা পরিষদের অধীনে জেলায় প্রায় ৫৯ টি রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অধীনেও জেলার প্রতিটি ব্লকে রাস্তা নির্মাণের কাজ হচ্ছে। সম্প্রতি জেলায় দু’টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল উদ্ধোধন হয়েছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ১০ তলা বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০০টি শয্যা রয়েছে। অন্যদিকে, গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ৫ তলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৩০০টি শয্যা রয়েছে। ২টি হাসপাতালেই গত সোমবার থেকে বিভিন্ন বিভাগের বহির্বিভাগ পরিষেবা চালুও হয়েছে। এই দু’টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে জেলার লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পেতে চলেছেন। জেলার ৮ টি ব্লকের মধ্যে বংশীহাড়ি, গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি ব্লকে পলিটেকনিক কলেজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই কলেজেগুলিতে পঠনপাঠন শুরু হবে। বাকি ব্লকের কলেজগুলির নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে।
পড়ূন তাঁতি সাথী প্রকল্পে উপকৃত রাজ্যের তাঁত শিল্প
বালুরঘাট ব্লকের মাঝিহানে কৃষি কলেজ তৈরির কাজও খুব শিঘ্রই শুরু হচ্ছে। যদিও এখানে কৃষি কলেজের পঠনপাঠন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জেলার পর্যটন এলাকাগুলিতে পর্যটক টানতে প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। কুশমন্ডি ব্লকের মহিপাল দিঘির পাশে পর্যটকদের থাকার জন্য ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক আবাসন তৈরি করা হয়েছে। গঙ্গারামপুরে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটকদের জন্য আধুনিক মানের টুরিষ্ট লজ তৈরির কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। তপন ব্লকের দিঘি সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টুরিষ্ট আবাসন তৈরি হচ্ছে। হরিরামপুরে ঐতিহাসিক শমীবৃক্ষ ও গৌড় দিঘির পাশে ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আবাসন তৈরি হয়েছে। জেলার বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুরে আধুনিক মানের বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। সবশেষে জেলার তপন ও গঙ্গারামপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার পানীয় জলের সংকট মেটাতে পরিস্রুত ফ্লুরাইড মুক্ত পানীয় জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি আগামী ১৮ মাসের মধ্যে জেলার এই ২টি ব্লকের পানীয় জলের সরবরাহের কাজ শেষ হবে। সব মিলিয়ে তৃণমূল সরকারের আমলে জেলায় সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।