দিওয়ালির রাতে জুয়ার ঠেক ভাঙতে গিয়ে খুন সাব ইন্সপেক্টর

দিওয়ালির রাতে জুয়ার ঠেকে অভিযান চালাতে যাওয়ায় পাথর ছুঁড়ে খুন করা হল পুলিসকে। গতরাতে কোচবিহারের পানিশালায় এসআই রঞ্জিতকুমার পাল খুন হন বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার ওই সাব ইন্সপেক্টর শুটকাবাড়ি আউট পোস্টের দায়িত্বে ছিলেন। পানিশালা এলাকাটি ওই পুলিস ফাঁড়িরই আওতায়। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় জুয়ার ঠেক এবং নানান অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ আসছিল পুলিসের কাছে। মঙ্গলবার দীপাবলীর সন্ধেয় জুয়ার বোর্ড বসেছে খবর পেয়ে সেখানে যান এসআই রঞ্জিতকুমার পাল। সঙ্গে ছিলেন দুই কনস্টেবল। পুলিস পৌছতেই তাদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। মাথায় ও বুকে পাথরের আঘাত লাগায় জিপের মধ্যেই পড়ে যান রঞ্জিত বাবু। কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কর্তব্যরত পুলিস কর্মী খুনের পরও কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।

Updated By: Nov 11, 2015, 10:34 AM IST
দিওয়ালির রাতে জুয়ার ঠেক ভাঙতে গিয়ে খুন সাব ইন্সপেক্টর

ওয়েব ডেস্ক: দিওয়ালির রাতে জুয়ার ঠেকে অভিযান চালাতে যাওয়ায় পাথর ছুঁড়ে খুন করা হল পুলিসকে। গতরাতে কোচবিহারের পানিশালায় এসআই রঞ্জিতকুমার পাল খুন হন বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার ওই সাব ইন্সপেক্টর শুটকাবাড়ি আউট পোস্টের দায়িত্বে ছিলেন। পানিশালা এলাকাটি ওই পুলিস ফাঁড়িরই আওতায়। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় জুয়ার ঠেক এবং নানান অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ আসছিল পুলিসের কাছে। মঙ্গলবার দীপাবলীর সন্ধেয় জুয়ার বোর্ড বসেছে খবর পেয়ে সেখানে যান এসআই রঞ্জিতকুমার পাল। সঙ্গে ছিলেন দুই কনস্টেবল। পুলিস পৌছতেই তাদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। মাথায় ও বুকে পাথরের আঘাত লাগায় জিপের মধ্যেই পড়ে যান রঞ্জিত বাবু। কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কর্তব্যরত পুলিস কর্মী খুনের পরও কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।

এসআইয়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোচবিহারের পুলিস সুপারের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল। আঘাত নয়, চিকিত্‍সকের মতে হৃদরোগে আক্রাম্ত হয়েই এসআইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন কোচবিহারের পুলিস সুপার রাজেশ যাদব। এমনকী দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও জানান তিনি।

দুবছর আগেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিস খুনের সাক্ষী হয়েছিল কলকাতা। গার্ডেনরিচ হরিমোহন ঘোষ কলেজের ছাত্র সংঘর্ষের মাঝে দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরীর। বিশাল পুলিশবাহিনী এবং সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই সাব ইন্সপেক্টর।

মাত্র কয়েকমাস আগেও এই শহরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন এক পুলিস কর্মী। গত আঠেরোই এপ্রিল পুরভোটের দিন গিরিশ পার্কে গুলিবিদ্ধ হন গিরিশ পার্ক থানার গুন্ডাদমন অফিসার জগন্নাথ মণ্ডল। পরে ওই ঘটনায় শাসকদল ঘনিষ্ঠ গোপাল তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিস।

এক দশক আগেই কর্তব্যরত পুলিসকর্মীর মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছে কোচবিহার। দুহাজার পাঁচে গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের সময় মিছিল থামাতে গিয়ে মৃত্যু হয় একজন অতিরিক্ত পুলিস সুপারসহ তিন পুলিস কর্মীর। কোচবিহারের বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল করে শহরে ঢুকে চাইছিলেন আন্দোলনকারীরা। চকচকার কাছে পুলিস মিছিল আটকালে পিটিয়ে খুন করা হয় যোগেশচন্দ্র সরকার ও গৌরচন্দ্র ধর নামে দুই পুলিস কর্মীকে। গুরুতর আহত হন ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কালিম্পংয়ের অ্যাডিশনাল এসপি মুস্তাক আহমেদ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

অভিযানে নেমে এরাজ্যে আরও একবার পুলিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল নন্দীগ্রামে। সেটা দুহাজার সাতের চোদ্দই মার্চের গুলি চালনার ঘটনার বেশ কয়েকমাস আগে। নন্দীগ্রামে ঢোকার সময় আন্দোলকারীরা পিটিয়ে খুন করে ডিআইবির সাব-ইনস্পেক্টর সাধুচরন চ্যাটার্জিকে। খুনের পর ঘটনাস্থল থেকে ওই সাব ইনস্পেক্টরের দেওয়া লোপাট করে দেওয়া হয়। তিন দিন পর হলদিনদীর চর থেকে সাধুচরণ চ্যাটার্জির দেহ উদ্ধার করে পুলিস।

.