উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার চা শ্রমিকদের
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কলকাতায় এসে নিজেদের দাবি জানিয়ে গেলেন বন্ধ চাবাগানের শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর এবারের সফরকে ঘিরে আশাবাদী তারা। শ্রমিকদের আশা, এবার হয়তো অর্ধাহার, অনাহার থেকে মুক্তি পাবেন তারা। যদিও একের পর এক চা-বাগান বন্ধ হচ্ছে। সমস্যার কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কলকাতায় এসে নিজেদের দাবি জানিয়ে গেলেন বন্ধ চাবাগানের শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর এবারের সফরকে ঘিরে আশাবাদী তারা। শ্রমিকদের আশা, এবার হয়তো অর্ধাহার, অনাহার থেকে মুক্তি পাবেন তারা। যদিও একের পর এক চা-বাগান বন্ধ হচ্ছে। সমস্যার কোনও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যে একের পর এক বন্ধ হয়ে গিয়েছে চাবাগান। উত্তরবঙ্গের বহু চাবাগান এখন কার্যত ধুঁকছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের বন্ধ চা-বাগানে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরও উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না চা বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের জন্য নেই রেশন। নেই খাবার। নেই শ্রমিকদের জন্য চিকিত্সার বন্দোবস্ত। তাই কার্যত একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছেন বন্ধ চাবাগানের শ্রমিকরা।
দশ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে জলপাইগুড়ির ঢেকলাপাড়া চাবাগান। দু`বেলাই জুটবে গরম, ধোঁয়া ওঠা ভাত। বন্ধ ঢেকলাপাড়া চা বাগানের শ্রমিকেরা এমন প্রতিশ্রুতিই শুনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছ থেকে। আজ চরম দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে কোনওরকমে বেঁচে রয়েছেন এই বাগানের শ্রমিকরা। তারাই এবার নিজেদের দাবি নিয়ে হাজির হয়েছেন কলকাতায়। বন্ধ চাবাগানের শ্রমিকদের আশা, এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে তাঁদের জন্য কিছু আশার কথা শোনাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
চা বাগানের নরম সবুজ পাতা তোলা হাত এখন পাথুরে নদী হাতড়ে খোঁজে দিনের রসদ। পাথর ভেঙে কোনওমতে দিনে ৩৫ টাকা। এতেই বেঁচে আছে ঢেকলাপাড়া, ডালমোড়, রামঝোড়ার মতো বন্ধ চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলি। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর কি বদলাতে পারবে এই ছবিটা?