রাজ্যে জঙ্গি নাশকতার মাথারা লুকিয়ে আছে মুর্শিদাবাদে, দাবি এনআইএ-এর
রাজ্যে জঙ্গি মডিউলের রহস্যভেদে নজর এবার মুর্শিদাবাদে। NIA সূত্র বলছে, রাজ্যে জঙ্গি মডিউলের মাথারা লুকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন ওই জেলাতেই। রহস্যের জাল কাটতে মুর্শিদাবাদে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাচ্ছে NIA।
বহরমপুর: রাজ্যে জঙ্গি মডিউলের রহস্যভেদে নজর এবার মুর্শিদাবাদে। NIA সূত্র বলছে, রাজ্যে জঙ্গি মডিউলের মাথারা লুকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন ওই জেলাতেই। রহস্যের জাল কাটতে মুর্শিদাবাদে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাচ্ছে NIA।
গ্রেনেড কারখানা, বিস্ফোরক ভাণ্ডার, জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে, বর্ধমানে একের পর এক জঙ্গিডেরার সন্ধান পেয়েছে NIA। যদিও, তদন্তকারীদের দাবি, বর্ধমানের ইউনিটগুলি অপারেশনাল সেন্টারের বেশি কিছু নয়। জঙ্গি মডিউলের আসল যোগসূত্র মুর্শিদাবাদেই। উঠে আসছে, বেলডাঙা, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ ও নদিয়ার করিমরপুরের মতো এলাকার নাম।
বর্ধমান বিস্ফোরণ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে NIA-র যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদকেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে,
এক দশক আগেই মুর্শিদাবাদে সংগঠন তৈরি করতে শুরু করে সীমান্তপারের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি
সীমান্তে জালনোট, ড্রাগস ও অন্যান্য চোরাচালানের নেটওয়ার্ককেই কাজে লাগানো হয় জঙ্গি সংগঠনের জাল তৈরির কাজে
এখনও মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় বহু অনুমোদনহীন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে জঙ্গি ডেরা হিসেবে
মুর্শিদাবাদেই দীর্ঘদিন লুকিয়ে ছিল আবদুল করিম টুন্ডা, সফদর নাগোরির মতো প্রথম সারির জঙ্গিনেতারা
গোয়েন্দারা বলছেন, মুর্শিদাবাদের কার্যত অরক্ষিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বহুদিন ধরেই জঙ্গিদের যাতায়াতের পছন্দের রুট। এই জেলায় জঙ্গি সক্রিয়তা নিয়ে অতীতেও বহুবার রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। বর্ধমান বিস্ফোরণেও মিলেছে মুর্শিদাবাদের যোগসূত্র।
বর্ধমান মডিউলের মাথা শাকিল গাজির মূল ডেরা ছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়
বেলডাঙার হাটপাড়াতেই ছিল বাংলাদেশের জঙ্গিনেতা নাসিরুল্লাহর ডেরা
লালগোলার মুকিমনগরে একটি ধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ব্যবহার করা হয়েছে জঙ্গিঘাঁটি হিসেবে।
মডিউলের আরেক মাথা রেজাউল করিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে।
বর্ধমানের হটুদেওয়ানের জঙ্গি ডেরাতেও মিলেছে মুর্শিদাবাদের যোগসূত্র।
মুর্শিদাবাদের ওপারেই রাজশাহী। বর্ধমানে তৈরি বিস্ফোরক, সেখানকার মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির কাছে পৌছত মুর্শিদাবাদের সীমান্ত পেরিয়েই। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বর্ধমানে যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। জঙ্গি মডিউলের আসল রাঘব বোয়ালরা লুকিয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদেই।