রানাঘাটের কনভেন্টে ঘটনার দশদিন আগে তোলা চেয়ে এসেছিল হুমকি ফোন

তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণেই হুমকির খবর গাঙনাপুর থানা নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। তবে গতকালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিস এই ঘটনায় দোষীদের খোঁজে তল্লাসি শুরু করে। দলের পাণ্ডা ফেরার।

Updated By: Mar 15, 2015, 02:27 PM IST
রানাঘাটের কনভেন্টে ঘটনার দশদিন আগে তোলা চেয়ে এসেছিল হুমকি ফোন

ওয়েব ডেস্ক: রানাঘাটের কনভেন্টে ঘটনার দশদিন আগে তোলা চেয়ে এসেছিল হুমকি ফোন। যে দুষ্কৃতীরা ফোন করেছিল তাঁদের শনাক্ত করেছে পুলিস। দুষ্কৃতীরা সবাই রানাঘাটের একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিস সূত্রের খবর। এই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গতকালের ঘটনার কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সূত্রের খবর, যে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করেছে পুলিস তাঁরা সবাই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণেই হুমকির খবর গাঙনাপুর থানা নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। তবে গতকালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিস এই ঘটনায় দোষীদের খোঁজে তল্লাসি শুরু করে। দলের পাণ্ডা ফেরার।

এদিকে, রানাঘাট গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে কার্যত দিশাহীন নদিয়া জেলা পুলিস। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সাহায্য চাইলেন সংবাদমাধ্যমের। সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দেওয়া হল দুষ্কৃতীদের ছবি। ঘোষণা করা হয়েছে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার।

কনভেন্ট অব জিসাস অ্যান্ড মেরি স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায় দুষ্কৃতীদের ছবি দেখে কার্যত চমকে গিয়েছেন গোয়েন্দারা।

সিসিটিভির ফুটেজই বলে দিচ্ছে, রাত দেড়টা থেকে টানা তিন,সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অবাধে স্কুলে দাপিয়ে বেড়িয়েছে দুষ্কৃতীরা। গোয়েন্দাদের ধারনা, চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পাঁচিল টপকেই শুক্রবার রাতে স্কুলে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। ওই পথেই তারা বেড়িয়েও যায়। পুলিস জানাচ্ছে, রাতে স্কুলের বাইরে জাতীয় সড়কের ওপর প্রতিদিনই থাকে পুলিসি টহল। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে টহলরত পুলিস কর্মীরা কেন শুক্রবার রাতে স্কুলের ভিতর কিছু একটা যে ঘটছে, সে বিষয়ে টের পেল না? অস্বস্তিতে পুলিস। দুষ্কৃতীদের ধরতে সংবাদমাধ্যমের সাহায্য চেয়েছেন জেলার এসপি।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের হাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে।  

কয়েক মাস আগে স্কুলের প্রিন্সিপালের দায়িত্বে আসেন মেরি পল। তিনি নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেন। স্কুলে সিসিটিভি বসে। সরানো হয় স্কুলের নিরাপত্তা কর্মী স্বপনকে। এরপর বেশ কয়েকবার স্কুলে এসেছিল স্বপন। শুক্রবার রাতের ঘটনায়, তার কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

স্কুলে কয়েকদিন আগে মেরামতির কাজ হয়। এই চারজনের মধ্যে কেউ নির্মাণকর্মী কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কথা বলছেন স্কুলের কর্মীদের সঙ্গেও। আপাতত এই দুটো সূত্রের ওপর নির্ভর করেই এগোতে চাইছে গোয়েন্দারা।

.