`দাদার` হুমকি চরিতার্থ করল `ভাইরা`, তৃণমূলী তাণ্ডবে ভিটে হারা সিপিআইএম সমর্থক
রফিকুলকে কেউ ছাড়বেন না। ভেঙে দিন ওর বাড়ি। কিচ্ছু করবে না পুলিস। তাপস পালের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়েছে। ছাড় পাননি ওই সিপিআইএম সমর্থক। প্রাণভয়ে আপাতত তিনি গ্রামছাড়া। আর তাঁর গ্রাম তেঘড়ির পশ্চিমপাড়া জুড়ে এখন শুধুই শ্মশানের স্তব্ধতা। নাকাশিপাড়া ব্লকের দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘড়ির পশ্চিমপাড়া গ্রাম। বেশিরভাগ বাড়িঘর পুরুষশূন্য। শিশুদের নিয়ে মহিলা আছেন-তবে প্রাণভয়ে কুঁকড়ে।
রফিকুলকে কেউ ছাড়বেন না। ভেঙে দিন ওর বাড়ি। কিচ্ছু করবে না পুলিস। তাপস পালের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়েছে। ছাড় পাননি ওই সিপিআইএম সমর্থক। প্রাণভয়ে আপাতত তিনি গ্রামছাড়া। আর তাঁর গ্রাম তেঘড়ির পশ্চিমপাড়া জুড়ে এখন শুধুই শ্মশানের স্তব্ধতা। নাকাশিপাড়া ব্লকের দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘড়ির পশ্চিমপাড়া গ্রাম।
বেশিরভাগ বাড়িঘর পুরুষশূন্য। শিশুদের নিয়ে মহিলা আছেন-তবে প্রাণভয়ে কুঁকড়ে।
এ সেই গ্রাম, যেখানে প্রকাশ্য জনসভায় নাম করে সিপিআইএম সমর্থক রফিকুল মণ্ডলকে নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ।
যেমন উস্কানি-তেমন কাজ। তাপস পালের জনসভার পরদিনই ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় ওই সিপিআইএম সমর্থকের বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন রফিকুলের স্ত্রী-ছেলেমেয়েরা। বেপাত্তা রফিকুলও। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর নামে। খুঁজছে পুলিস। খোদ তৃণমূল সাংসদ যে ভাষায় তাঁকে হুমকি দিয়ে গেছেন তারপর সামনে এলেই খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। আপাতত আত্মগোপন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে একবার তাঁর গোপন আস্তানার খোঁজ পেয়ে রফিকুলের মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা ।
তিনি দাবি করলেন, যা অভিযোগ আনা হয়েছে, সবটাই মিথ্যে।
রফিকুল গ্রামছাড়া। ভিটেমাটি আকড়ে পড়ে আছেন পরিবারের জনাকয়েক সদস্য। তবে সবসময় সঙ্গী আতঙ্ক। আবার যদি হামলা হয়!
শুধু সিপিআইএম কর্মীরাই নন, গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও অশান্তি-রক্তপাতের আশঙ্কা করছেন প্রতি মুহুর্তে। সন্ত্রাসের আবহে কাটছে দিন-রাত।