দুর্গাপুর, ধূপগুড়ি বামেদের হাতছাড়া

পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যে শক্তি বাড়াল তৃণমূল। আশানুরুপ ব্যবধানে জয় না-পেলেও বামেদের থেকে দুটি পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। এর মধ্যে দূর্গাপুর বামেদের হাতছাড়া হওয়া নিঃসন্দেহে তাত্‍পর্যপূর্ণ। এই প্রথমবার সেখানে পুরনিগম থেকে উত্‍খাত হতে হল বামেদের।

Updated By: Jun 5, 2012, 01:13 PM IST

পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যে শক্তি বাড়াল তৃণমূল। আশানুরুপ ব্যবধানে জয় না-পেলেও বামেদের থেকে দুটি পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। এর মধ্যে দূর্গাপুর বামেদের হাতছাড়া হওয়া নিঃসন্দেহে তাত্‍পর্যপূর্ণ। এই প্রথমবার সেখানে পুরনিগম থেকে উত্‍খাত হতে হল বামেদের। এছাড়া ধূপগুড়ি পুরসভাও হাতছাড়া হয়েছে বামেদের। সেখানে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের পর ৬টি পুরসভার নির্বাচনই ছিল প্রথম ভোট। সেই ভোটে বামেদের কাছ থেকে দুর্গাপুর কেড়ে নিয়ে আরও শক্তি বাড়াল তৃণমূল।
নলহাটিতে কাজ করেনি অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায় ফ্যক্টর। পুরসভাটি কংগ্রেসকে উপহার দিতে প্রচণ্ড গরমেও চেষ্টার কসুর করেননি প্রণব-তনয়। সেখানে কংগ্রেস তিনটি আসন পেলেও ১৫ আসনের নলহাটি পুরসভায় ৮টি আসন পেয়ে বাজিমাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল জিতেছে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ৮, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড পেয়েছে বামেরা। কংগ্রেস জিতেছে ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি পেয়েছ ৯ নম্বর ওয়ার্ডটি।
ধূপগুড়ি পুরসভাটি বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল উল্লেখযোগ্য ভাবে এখানে একটি ওয়ার্ডে জিতেছে বিজেপি। পনেরো আসনের ধূপগুড়িতে তৃণমূল পেয়েছে ১১টি আসন, বামেরা পেয়েছে ৪টি। ফলে সেখানে নিরঙ্কুশ ভাবে বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পাঁশকুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস বড় ব্যবধানে জিতলেও, দুটি ওয়ার্ড থেকে ভোটে লড়াই করে দুটিতেই বামেদের কাছে হেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের বিদায়ী পুরপ্রধান। সতেরো আসমনের পাঁশকুড়া পুরসভার ফল তৃণমূল - ১২, বাম - ৫
দুর্গাপুর হাতছাড়া হল বামেদের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সেখানে ২২টি আসন দখল করেছে তৃণমূল। বামেদের দখলে এসেছে ৯টি ওয়ার্ড। এই প্রথম দুর্গাপুর বামেদের হাত ছাড়া হল। ফলে সেখানে আবির খেলায় মেতেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

ফলপ্রকাশের পর তরজা শুরু হয়েছে শাসক জোটের দুই শরিকের মধ্যে। প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, তাদের ছাড়া গতি নেই তৃণমূলের। উল্টোদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, পুরভোট প্রমাণ করল রাজ্যে তৃণমূলের কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেই।
পুর নির্বাচনের সিপিএম ধুয়ে মুছে যাবে বলে মন্তব্য করেছিলেন অনেক তৃণমূল নেতা। একই মত ছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কিন্তু ফল বেরোতে দেখা গেল উলটপুরাণ। দুর্গাপুর ও ধূপগুড়ি হাতছাড়া হলেও এখনও বামেরা রাজ্যে সমান প্রাসঙ্গিক।

.