হাওড়ায় অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে
হাওড়া পুর এলাকায় বাড়ছে অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে বেশকয়েকজনের রক্তে মিলেছে ডেঙ্গির নমুনা। সোমবার হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে এক রোগিনীর মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসে জেলাপ্রশাসন। তড়িঘড়ি ডাকা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
ওয়েব ডেস্ক: হাওড়া পুর এলাকায় বাড়ছে অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে বেশকয়েকজনের রক্তে মিলেছে ডেঙ্গির নমুনা। সোমবার হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে এক রোগিনীর মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসে জেলাপ্রশাসন। তড়িঘড়ি ডাকা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
পুজোর পর থেকেই হাওড়া পুরসভায় বাড়তে থাকে অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এই জ্বরকে প্রথমে ডেঙ্গি বলে মানতে চায়নি পুরসভা। পরে বেশকয়েকজনের রক্তে ডেঙ্গির নমুনা মেলার পরই অভিযান শুরু করে পুরসভা। শুরু হয় মশারি বিলি, ব্লিচং ছড়ানোর পাশাপাশি শুরু হয় সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান। তবে পুরসভা ও জেলাস্বাস্থ্য দফতরের প্রচেষ্টা যে ফলপ্রদ হয়নি তা চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সোমবারের রোগীমৃত্যুর ঘটনা। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় শিবপুরের বাসিন্দা অন্নপূর্ণা মাইতির।
চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ঘেরাও হন চিকিত্সক। পরে ওই চিকিত্সকই দাবি করেন, ডেঙ্গিতেই মৃত্যু হয়েছে অন্নপূর্ণা মাইতির। এরপরই প্রশ্ন উঠছে জেলাস্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার তত্পরতা নিয়ে। এতো সতর্কতা সত্ত্বেও কীভাবে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। ডেঙ্গির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সিএমওএইচও।
স্বাস্থ্য দফতরসূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে শুধুমাত্র হাওড়া জেলা হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮০ জন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনের রক্তে পাওয়া গেছে ডেঙ্গির জীবানু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে হাওড়া পুরসভা।বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের কৃষি বিপনন মন্ত্রী আরূপ রায়। মেয়র রথীন চক্রবর্তী সহ পুলিস প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।