ভোটের আগে ২ লক্ষ চাকরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যে খুলছে 'চাকরির ভাণ্ডার'

বিধানসভা ভোটের আগে কল্পতরু রাজ্য সরকার। ২ লক্ষ সরকারি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষক পদে ৭০ হাজার , গ্রুপ সি  এবং গ্রুপ ডি পদে ৬০ হাজার করে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে সিভিক পুলিসের বেতন ২৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। আজ নবান্নে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Updated By: Jun 30, 2015, 02:53 PM IST
ভোটের আগে ২ লক্ষ চাকরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যে খুলছে 'চাকরির ভাণ্ডার'

ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে কল্পতরু রাজ্য সরকার। ২ লক্ষ সরকারি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষক পদে ৭০ হাজার , গ্রুপ সি  এবং গ্রুপ ডি পদে ৬০ হাজার করে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে সিভিক পুলিসের বেতন ২৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। আজ নবান্নে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বাংলায় চাকরি নেই। এই রবে সরব হয়েছে রাজ্যের বেকার যুবরা। রাজ্য থেকে ইনফোসিস চলে যাওয়া কটাক্ষের মুখে পরতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। বিরোধীদের কটাক্ষ ছিল, দিদি রাজ্য থেকে ইনফোসিসকে তাড়িয়েছেন। জমি আন্দোলনের নাম করে টাটাকে সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা গুজরাটে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী। রাজ্য থেকে চলে গিয়েছে এবিজি সহ আরও অনেকেই। কিন্তু সরকার কোনও কার্যকারি পদক্ষেপ নেয়নি। ভোটের পালে হাওয়া আনতেই এবার সরকারি পদে কর্মি নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে সরকার বিরোধী শিবির।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষায় পাস করেও এখনও পর্যন্ত বেকার রাজ্যের হাজার হাজার এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। বারবারই তৃণমূল নেতৃত্বের কোপের মুখে পড়েছেন সিভিক পুলিসরা। কখনও তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন, কখনও সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি, আবার কখনও পরেশ পাল শাসক দলের হুমকি শাসানিতে পুলিসেরই এক অংশ বিদ্রোহ দেখাতে শুরু করে বলেও জানা যায়। পুলিসকে অপমানের নজির রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তি 'আপনাদের চাবকানো উচিত', বিতর্ক তৈরি করেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। পার্শ্ব শিক্ষকদের সমস্যাতেও অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। এমন অবস্থায় সব দিক সামলাতেই স্বভূমিকায় তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এত শূন্য পদ কি আদেও আছে? যদি থাকে তাহলে এতদিন চাকরি পায়নি কেন বেকাররা? বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, বারবারই সরকারের কোষাগার শূন্য বলে দাবি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ লক্ষ সরকারি কর্মী নিয়োগ হলে তাদের বেতনের টাকা কথা থেকে জোগাড় করবে সরকার?

.