তেহট্টে পৌঁছল সিআইডি

শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে তেহট্টের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। ওই ঘটনায় সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টাতেই এই নির্দেশ বলে অভিযোগ। যদিও এরাজ্যে নয়া সরকার আসার পর পুলিসের গুলি চালনার যে ঘটনাগুলির তদন্ত সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছিল তার কোনওটিরই তদন্ত সম্পূর্ণ হয়নি।

Updated By: Nov 17, 2012, 07:13 PM IST

তেহট্টে গুলি চালানোর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তদন্তের কাজে আজ রাতেই তেহট্টে পৌঁছন সিআইডির তিন অফিসার। তেহট্ট থানায় বৈঠক করেন তাঁরা। আগামিকাল ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।
নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই চাপে পড়ে সরকারে সিআইডি তদন্তের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ পুলিসের গুলিতে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে। অভিযুক্ত এসডিপিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। পিস্তল, ওয়ানশটার, তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি পুলিসের। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সিআইডি তদন্তের নির্দেশ। যদিও সিআইডি-র এই তদন্ত নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক অতীত বলছে, এরাজ্যে পুলিসের গুলি চালনার যেকটি তদন্ত সিআইডি করেছে তার একটিও সম্পূর্ণ হয়নি।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আন্দোলনের সময় পুলিস গুলি চালায়। মারা যান তিনজন। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম সেই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে। আজ পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি।
নদিয়ারই বগুলায় বিসর্জনের দিন জনতা-পুলিস সংঘর্ষ। পুলিসের গুলিতে নিহত হন এক মহিলা। সিআইডি তদন্ত করলেও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি।
আসানসোলে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ। পুলিসের গুলিতে এখানেও মারা যান এক যুবক। সেই তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হয় সিআইডি-কে। কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই তেহট্টের ঘটনায় সিআইডি তদন্ত আদৌ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে খোদ তেহট্টবাসী।
সিআইডি তিমিরে তদন্ত
৮ ফেব্রুয়ারি ,২০১১
পুলিসের গুলিতে মারা যান ৩জন। তদন্তে এখনও চলছে।
৮ অক্টোবর, ২০১১
পুলিসের গুলিতে নিহত ১ মহিলা। এখনও চার্জশিট জমা পড়েনি।
৬ নভেম্বর, ২০১১
বিসর্জনকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা। গুলিতে নিহত ১ যুবক। তদন্ত শেষ হয়নি।
অন্যদিকে, তেহট্টকাণ্ডে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ এসডিপিওই। সেই এফআইআরে আঠারোজনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।  আরও এক হাজার জনের বিরুদ্ধে পুলিসকে আক্রমণ, খুনের চেষ্টা, দাঙ্গা বাঁধানো এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। এফআইআরে পুলিস বাজেয়াপ্ত হিসেবে দেখিয়েছে, একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শটার, বেশ কিছু তাজা বোমা, ও বোমার স্প্লিন্টার। এই মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে এক সাব ইনস্পেক্টরকে। যে সাব ইন্সপেক্টর নিজেই আগে একটি গুলি চালনার ঘটনায় অভিযুক্ত বলে খবর।

.