আমফান বিধ্বস্ত বাংলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন 'মিস ইংল্যান্ড'

কিন্তু কে এই 'মিস ইংল্যান্ড', আর কেনই বা তিনি বাংলার মানুষের জন্য এতটা উদ্বিগ্ন?

Edited By: রণিতা গোস্বামী | Updated By: May 28, 2020, 04:59 PM IST
আমফান বিধ্বস্ত বাংলার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন 'মিস ইংল্যান্ড'

নিজস্ব প্রতিবেদন : আমফান বিধ্বস্ত বাংলার মানুষকে সাহায্য করতে এবার এগিয়ে এলেন 'মিস ইংল্যান্ড'। গড়ে তুলছেন ত্রাণ তহবিল। কিন্তু কে এই 'মিস ইংল্যান্ড', আর কেনই বা তিনি বাংলার মানুষের জন্য এতটা উদ্বিগ্ন?

২০১৯-এ ব্রিটিশ সুন্দরীদের হারিয়ে 'মিস ইংল্যান্ড'-এর খেতাব যিনি জিতে নিয়েছিলেন, তিনি হলেন বঙ্গ তনয়া ভাষা মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে ইংল্যান্ডের মডেলিং দুনিয়ার অন্যতম সেরা মডেল তিনি। তবে ভাষার আরও একটি পরিচয়ও রয়েছে। পেশায় তিনি চিকিৎসক। 

বর্তমানে করোনার থাবায় ক্ষতবিক্ষত ইংল্যান্ডে চিকিৎসার কাজে ব্রতী হয়েছেন ভাষা। করোনা আক্রান্ত মানুষজনকে সুস্থ করে তুলতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। আমফান বিধ্বস্ত বাংলার খবর পৌঁছে গিয়েছে এই বঙ্গ তনয়ার কাছে। ফেসবুকে আমফান বিধ্বস্ত বাংলার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন ভাষা। লিখেছেন, কলকাতা মানেই তাঁর পরিবার। আমফান বিধ্বস্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের জন্য কাজ করছেন 'The Hope Foundation'। যে সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ভাষা। আর সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবেই ভাষা গড়ে তুলেছেন একটি ফান্ড। সেখানে তিনি নিজেও যেমন অনুদান দিয়েছেন, অন্যদেরও অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন।

আরও পড়ুন-এক নাগাড়ে ফোনে ঢুকছে পরিযায়ী শ্রমিকদের মেসেজ, দেখতে গিয়ে নাজেহাল সোনু সুদ, শেয়ার করলেন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন-ভারতে এলেই গ্রেফতার! নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ত্রিপুরায়

প্রসঙ্গত, ভাষা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম কলকাতাতেই। তাঁর ৯ বয়সেই তাঁর পরিবার ইংল্যান্ডে চলে যায়। তারপর সেখানেই বেড়ে ওঠা। ছোট থেকেই বেশ মেধাবী ছাত্রী। ইংল্যান্ডের ডার্বি শহরের বাসিন্দা বছর ২৩-এর বছরের ভাষার ঝুলিতে রয়েছে দু'দুটি ডাক্তারির ডিগ্রি। চিকিৎবিজ্ঞান নিয়ে পড়া শেষ করার পর নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন ও শল্যচিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। শুধু তাই নয়। পাঁচটি ভাষায় সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারেন 'ইংল্যান্ডসুন্দরী' ভাষা। বাংলা, হিন্দি, ইংরাজীর পাশাপাশি জার্মান ও ফ্রেঞ্চেও কথা বলতে পারেন তিনি। 

.