Sandeshkhali | Mamata Banerjee: 'আগে টার্গেট শেখ শাহাজাহান...',সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপিকে নিশানা মমতার!

'আমি উদ্যোগ নিয়ে স্টেট কমিশন পাঠিয়েছি। আমাদের প্রশাসন পাঠিয়েছি। ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁরা মুখে মাস্ক পরে ছবি তুলছে. ধরাও পড়েছে, বিজেপি-র কর্মী'।

Updated By: Feb 15, 2024, 05:22 PM IST
Sandeshkhali | Mamata Banerjee: 'আগে টার্গেট শেখ শাহাজাহান...',সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপিকে নিশানা মমতার!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: 'আগে টার্গেট শেখ শাহাজাহান, ওকে টার্গেট করে ইডি ঢুকল'। সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার বিধানসভায় খড়গহস্ত মুখ্যমন্ত্রী। নিশানা করলেন বিজেপিকে।

আরও পড়ুন:  Mimi Chakraborty: দলনেত্রীর কাছে 'ইস্তফা' সাংসদ মিমি-র, প্রত্যাখ্যান মমতার?

সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গরাজনীতি। পথে নেমেছে বিরোধীরা। বিজেপি আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বসিরহাট। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। চলে ইটবৃষ্টি! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। কবে? মঙ্গলবার।

এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাঁরা কিছুদিন ধরে অনেক কথা বলে যাচ্ছেন, কিছু মিডিয়া তৎপরতায়। আসল কথাটা না জেনে, আপনার জানেন, জীবনে কোনও অন্যায় জিনিসকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। আমি উদ্যোগ নিয়ে স্টেট কমিশন পাঠিয়েছি। আমাদের প্রশাসন পাঠিয়েছে। ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁরা মুখে মাস্ক পরে ছবি তুলছে, ধরাও পড়েছে। বিজেপি-র কর্মী'।

মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'আগে টার্গেট শেখ শাহাজাহান, ওকে টার্গেট করে ইডি ঢুকল। তারপরেই সবাইকে বের করে দিয়ে, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দিল। কারও কোন ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। যদি থাকে,সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের মহিলা টিম আছে ওখানে। পুলিসের একটা মহিলা টিম আছে। ঘরে ঘরে যাচ্ছে, কার কী অভিযোগ শুনতে। শুনে এসে রিপোর্ট করার যদি কারও  কোনও সমস্যা থাকে, নিশ্চয়ই আমরা কাজ করব। আগে তো আমাকে জানতে হবে ব্যাপারটা কী'!

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'সন্দেশখালি আজকের নতুন নয়। ওখানে আরএসএসের একটা বাসা আছে। ৭-৮ বছর আগেও অশান্তি হয়েছিল। সরস্বতী পুজো আমরা কঠোরভাবে মোকাবিলা করেছি। না হলে আদৌ সঠিকভাবে করতে পারতাম কিনা, সন্দেহ আছে'।

আরও পড়ুন:  Dev summoned by ED: রাজনীতিতে ফেরার পরই ইডি-র ডাক পেলেন দেব, এবার দিল্লি

এদিকে চোপড়াকাণ্ডে বিএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় তিনি বলেন, 'শিশুদের জীবনের কী কোনও দাম নেই? বিএসএফের আমি শাস্তি চাই।  তাঁদের জন্য বাচ্চাগুলি মারা গিয়েছে। কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে'। সঙ্গে অভিযোগ, 'এলাকায় দিয়ে গেরুয়া রঙের প্যাকেটে করে জিনিস দিচ্ছে। আপনি কে? তোমার কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া, বিজেপির ক্যাম্প করা নয়'। 

ঘটনাটি ঠিক কী? উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ শিশু। স্থানীয় দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দাসপাড়া পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায় ড্রেন তৈরি করেছিল বিএসএফ। সেই ড্রেনেই পড়ে যায় শিশুরা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল

.