কেয়ারটেকারকে কুকর্মে সাহায্য, জোড়াবাগান কাণ্ডে ধৃত মার্বেল মিস্ত্রি

জোড়াবাগান কাণ্ডে নির্যাতিতা নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ, মৃতের পাকস্থলীতে মিলেছে বিরিয়ানি এবং চিপস। যোনিতে 'পেনিট্রেশনে'র চিহ্নও মিলেছে। 

Reported By: অয়ন ঘোষাল | Updated By: Feb 8, 2021, 04:45 PM IST
কেয়ারটেকারকে কুকর্মে সাহায্য, জোড়াবাগান কাণ্ডে ধৃত মার্বেল মিস্ত্রি

নিজস্ব প্রতিবেদন : জোড়াবাগানে ৯ বছরের নাবানিকাকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে দ্বিতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃত পেশায় মার্বেল ফিটিংস মিস্ত্রি বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, মূল অভিযুক্ত কেয়ারটেকার রামকুমারকে কুকীর্তিতে সাহায্য করেছিল ধৃত।

প্রসঙ্গত, ৯ বছরের নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানো ও তাকে খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিসের সন্দেহ ছিল যে, এটা কারও একার কাজ নয়। এরসঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে। কারণ বৃদ্ধ কেয়ারটেকারের পক্ষে একা পুরো অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভবপর নয়। তাই নারকীয় এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত, তার খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছিল পুলিস। আর তারপরই আজ পুলিসের জালে ধরা পড়ল ওই মার্বেল মিস্ত্রি। কেয়ারটেকার রামকুমারকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। 

উল্লেখ্য, জোড়াবাগান কাণ্ডে নির্যাতিতা নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলার কথা উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, মৃতের পাকস্থলীতে মিলেছে বিরিয়ানি এবং চিপস। যোনিতে 'পেনিট্রেশনে'র চিহ্নও মিলেছে। অভিযুক্ত রামকুমারকে জেরা করে আরও জানা যায়, বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ মাদক দ্রব্য এবং বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে ৯বি বৈষ্ণব শেঠ ফার্স্ট লেনের বাড়িতে ঢুকেছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার। পৌনে ৮টা নাগাদ মদ্যপান শুরু করে সে। তার মোবাইলে থাকা ১২টি জুভেনাইল পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখতেই মদ্যপানের মাত্রা বাড়ে। সেইসময়ই বাড়ির দোতলার সিঁড়ির কাছে শিশুর কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে উঠে যায় সে। 

এরপরই ৯ বছরের ওই বালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ঘরে আনে। সেখানেই চিপস-বিরিয়ানি খাওয়ানো হয় তাকে। পুলিসের অনুমান, খাবারের মধ্যেই মাদকদ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। এতে শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে ছাদে নিয়ে যায় কেয়ারটেকার। তারপর সেখানেই শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। নাবালিকার চেতনা কিছুটা ফিরতে, সে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়। ভয় পেয়ে তখনই তাকে পাল্টা আঘাত করে কেয়ারটেকার রামকুমার। মুখে ঘুসি মারে, গলা টিপে ধরে। এরপর ওই নাবালিকা নেতিয়ে পড়লে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় ছুরিও চালায় সে।

আরও পড়ুন, খেলা দেখার সময় নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে উত্তেজনা পুঁটিয়ারিতে

.