বাড়ির কাছে এসেও বাড়ি থেকে দূরে মদন মিত্র, কিন্তু হঠাত্‍ কেন এই সিদ্ধান্ত বদল?

থানার জুরিসডিকশন মানচিত্র যে কত নির্মম হতে পারে, মদন গোপাল মিত্রই বোধহয় এখন সেটা সবচেয়ে ভাল জানেন। ভবানীপুরের বড়দা। এতদিন যে তকমাটা আত্মতৃপ্তি এনে দিত, এখন সেটাই যেন সবচেয়ে বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাইপে একটা ভুল। আর তাতেই বাড়ির কাছে এসেও বাড়ি থেকে দূরে মদন মিত্র। প্রাক্তন মন্ত্রীর নিজের বয়ান অনুযায়ী, যে বাড়ির চেহারা গত দুবছরে তিনি ভুলতে বসেছেন।

Updated By: Sep 12, 2016, 08:30 PM IST
বাড়ির কাছে এসেও বাড়ি থেকে দূরে মদন মিত্র, কিন্তু হঠাত্‍ কেন এই সিদ্ধান্ত বদল?

ওয়েব ডেস্ক: থানার জুরিসডিকশন মানচিত্র যে কত নির্মম হতে পারে, মদন গোপাল মিত্রই বোধহয় এখন সেটা সবচেয়ে ভাল জানেন। ভবানীপুরের বড়দা। এতদিন যে তকমাটা আত্মতৃপ্তি এনে দিত, এখন সেটাই যেন সবচেয়ে বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাইপে একটা ভুল। আর তাতেই বাড়ির কাছে এসেও বাড়ি থেকে দূরে মদন মিত্র। প্রাক্তন মন্ত্রীর নিজের বয়ান অনুযায়ী, যে বাড়ির চেহারা গত দুবছরে তিনি ভুলতে বসেছেন।

মদন মিত্র হোমসিক। নিজের পরিবারের মতো নিজের বাড়িকেও তিনি ভালবাসেন। আলিপুর আদালতের নির্দেশে জেল থেকে ছুটি মিললেও বাড়িতে তাঁর যাওয়া হচ্ছে না। ভবানীপুরের হোটেলে পাঁচশো দুনম্বর ঘরে বসে আপাতত এই আপশোস তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। জামিনের পর পরই ঠিক ছিল, বাড়ি ফেরার জন্য চলতি সপ্তাহে আদালতে আবেদন জানাবেন তিনি। এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন মদন মিত্রর আইনজীবীরা। হঠাত্‍ কেন সিদ্ধান্ত বদল?

সূত্রের খবর, ভাবনাচিন্তা করেই মদনের আইনজীবীরা এই কৌশল নিয়েছেন। জামিনের শর্তে মদন মিত্রকে ভবানীপুরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আলিপুর আদালতের ওই নির্দেশের বিরোধিতা করতে চাইছেন না মদনের আইনজীবীরা। নির্দেশের বদল হলে তৈরি হতে পারে নতুন বিতর্ক। ফের উঠতে পারে প্রভাবশালী তত্ত্ব। আদালতের নির্দেশ যে তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন,  সেটাই তুলে ধরতে চান মদনের আইনজীবীরা।

জামিনের বিরোধিতায় হাই কোর্টে মামলা ঠুকতে চলেছে সিবিআই। মদন মিত্র জামিন পেলে খোদ মন্ত্রী আদালত চত্বরে পৌছে যান। এই যুক্তিকে সামনে রেখে আবার প্রভাবশালী অস্ত্রে শান দিচ্ছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাঘবচারুলু। তাঁকে কাউন্টার করতে মক্কেলের বিনয়ী আর বাধ্য ছেলে ভাবমূর্তিই তুলে ধরতে চান আইনজীবীরা। তাই মামলার গতিপ্রকৃতি বুঝে, বাড়ি ফেরানোর ব্যাপারে মেপে পা ফেলতে চান তাঁরা। প্রভাবশালী ইমেজ কাটাতে ভবানীপুরের হোটেলই এখন মদন মিত্রর স্থায়ী ঠিকানা। কারণ এর আগে বাইরে বেরিয়েও খাঁচায় ঢুকতে হয়েছিল সিংহকে।

.