রহস্যজনক ফোনে নেপাল ছেড়ে ভারতে প্রত্যাবর্তন সুদীপ্তর

পরিকল্পনামাফিক পালিয়েছিলেন সারদাকর্তা। পুলিসি জেরায় ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই তথ্য। দেশ ছেড়ে তিনি নেপাল পৌঁছে গেলেও একটি ফোন পেয়ে ভারতে ফিরে এসেছিলেন বলে জেরায় জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। গত সতেরোই এপ্রিল মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সুদীপ্ত সেন উত্তর ভারতে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই ফোন পেয়ে নেপাল থেকে ভারতে ফেরেন সুদীপ্ত সেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কার ফোনে এতোটা ঝুঁকি নিলেন তিনি?

Updated By: May 11, 2013, 10:14 AM IST

পরিকল্পনামাফিক পালিয়েছিলেন সারদাকর্তা। পুলিসি জেরায় ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই তথ্য। দেশ ছেড়ে তিনি নেপাল পৌঁছে গেলেও একটি ফোন পেয়ে ভারতে ফিরে এসেছিলেন বলে জেরায় জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। গত সতেরোই এপ্রিল মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সুদীপ্ত সেন উত্তর ভারতে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই ফোন পেয়ে নেপাল থেকে ভারতে ফেরেন সুদীপ্ত সেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কার ফোনে এতোটা ঝুঁকি নিলেন তিনি?
সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন যে পরিকল্পনা করেই পালিয়েছিলেন, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সেই দাবি। পরিকল্পিতভাবে সিবিআইকে চিঠি লেখার পর কয়েকদিন অপেক্ষা করেন তিনি। তারপর অবস্থা বুঝে ফেরার হয়ে যান। সারদার প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসার আগে গত দশই এপ্রিল উধাও হয়েছিলেন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।
তাঁর সঙ্গী ছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়, অরবিন্দ সিং চৌহানও।  
ঝাড়খণ্ড হয়ে দিল্লি থেকে তাঁরা পৌঁছে যান দেরাদুনে। এরপর হরিদ্বার, জিম করবেট ন্যাশানাল পার্ক হয়ে তাঁরা পৌঁছেন হলদোয়ানি। তবে এখানেই শেষ নয়। কনকপুরে দেশের সীমান্ত পাড় হয়ে নেপালের ধাংরি পৌঁছে য়ান তাঁরা। তবে নেপাল থেকে রাতারাতি সদলবলে ভারতের পিরে এসেছিলেন সারদাকর্তা।  এরপর রুদ্রপুর, সোনপথ, কিরাত্পুর, কুলু, উধমপুর হয়ে শ্রীনগরের সোনমার্গ পৌঁছোন তাঁরা। সেখান থেকেই গত তেইশে এপ্রিল ধরা পড়েন সুদীপ্ত।
জেরায় নিজের পালানোর ছকের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন সারদার কর্ণধার। তবে নেপাল থেকে আনায়াসে ভারতীয় পুলিসের  ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারতেন চিটফাণ্ড কাণ্ডের মূল কারিগর। কিন্তু তা তিনি করেননি। কেন? সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। 
পুলিসি জেরায় সারদাকর্ণধার অবশ্য জানিয়েছেন একটি ফোন পেয়েই দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি।  সারদাকাণ্ডের জেরে গত ষোলোই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান এজেন্ট এবং আমানতকারীরা। এরপরেই সতেরোই এপ্রিল মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সুদীপ্ত সেনের সন্ধানে তল্লাসি চলছে। যতদূর সম্ভব তিনি উত্তর ভারতে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই রাতারাতি নেপাল থেকে ভারতে ফিরেছিলেন সুদীপ্ত সেন। ভারতে ফিরে কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। দীর্ঘ জেরার পর পুলিসের কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। তবে প্রশ্ন উঠছে কে সেই ব্যক্তি যাঁর ফোন পেয়ে, হাজারও ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন সরাদা কর্ণধার? প্রশ্ন উঠছে, ফোনে এমনি কী তাঁকে বলা হয়েছিল যাতে আশ্বস্ত হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন?

.