রায় শোনার পর প্রথম কী করেন মদন মিত্র?
অবশেষে সারদাকাণ্ডে জামিন পেলেন মদন মিত্র। জামিনের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এদিন জামিনের শুনানি নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়ালে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। তিনি বলেন, সারদাকাণ্ড অর্থনৈতিক অপরাধ। তথ্যনির্ভর এবং তদন্ত সাপেক্ষ। তাই প্রভাবশালীকে জেলে রাখার দরকার নেই।
ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে সারদাকাণ্ডে জামিন পেলেন মদন মিত্র। জামিনের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এদিন জামিনের শুনানি নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়ালে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। তিনি বলেন, সারদাকাণ্ড অর্থনৈতিক অপরাধ। তথ্যনির্ভর এবং তদন্ত সাপেক্ষ। তাই প্রভাবশালীকে জেলে রাখার দরকার নেই। এরপরেই মদন মিত্রের শর্তাধীনে জামিনের নির্দেশ দেন তিনি। জামিনের জন্য দুলক্ষ টাকার বন্ড, দুজন সিউরিটি রাখা এবং পাসপোর্ট জমা রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। রাজ্য ছেড়ে না যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া সারাদাকাণ্ডের তদন্তের খাতিরে যখনই প্রয়োজন তখনই হাজিরা দিতে হবে। হাসপাতালে জামিনের নির্দেশ শোনার পর কেঁদে ফেলেন মদন মিত্র। এদিন সকাল থেকেই উদ্বেগে ছিলেন তিনি। ওয়ার্ডেই পুজোও করেন। জামিনের খবর শোনার পর মদন মিত্র বলেন, বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁর আস্থা আছে। আদালতের রায়ে তিনি খুশি। সূত্রের খবর এবার হাইকোর্টে যাচ্ছে সিবিআই।
জামিনের নির্দেশ পাওয়ার পর এদিন হাসপাতালে কেঁদে ফেলেন মদন মিত্র। এদিন সকালেই দীর্ঘক্ষণ পুজো করেন তিনি। তবে জামিনের খবর পাওয়ার পর প্রথমে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি মন্ত্রী। পরে বলেন,বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। জামিনের নির্দেশে তিনি খুশি। আরও তিন চার দিন হাসপাতালেই থাকতে চান বলে জানান। এরপরেই দলের নির্দেশে কাজ শুরু করবেন বলে জানান। দলীয় সূত্রে খবর, দীপাবলির পরেই দায়িত্বে ফিরবেন মদন। ফিরে পাবেন ক্রীড়া ও পরিবহণ দফতর।
জামিনের নির্দেশ শোনার পর ওআজ হাসপাতালে গিয়ে মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর ছেলে। হাসপাতালে পৌছে যান তাঁর সমর্থকেরা। মন্ত্রীর জামিনের নির্দেশে রীতিমতে উচ্ছ্বসিত ছিলেন তাঁরা। অনেকে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে প্রসাদী ফুল পাঠিয়ে দেন ওয়ার্ডের মধ্যে।