রাজ্য সরকারকে সাহায্য করাই মহিলা কমিশনের কাজ! দায়িত্ব নিয়েই দাবি ভাইস চেয়ারপার্সন দোলা সেনের

রাজ্য সরকারকে সাহায্য করাই মহিলা কমিশনের কাজ। দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা করেছেন কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন দোলা সেন। প্রশ্ন উঠছে, নারীর অধিকার রক্ষায় সরব হওয়ার বদলে এবার থেকে কি সরকারি প্রকল্পের প্রচার চালাবে মহিলা কমিশন? কমিশনের কাজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন কিন্তু বলছে অন্য কথা।

Updated By: Jul 4, 2014, 06:21 PM IST

রাজ্য সরকারকে সাহায্য করাই মহিলা কমিশনের কাজ। দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা করেছেন কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন দোলা সেন। প্রশ্ন উঠছে, নারীর অধিকার রক্ষায় সরব হওয়ার বদলে এবার থেকে কি সরকারি প্রকল্পের প্রচার চালাবে মহিলা কমিশন? কমিশনের কাজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন কিন্তু বলছে অন্য কথা।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গত করাই কি কমিশনের কাজ? কী বলছে আইন? কী বলছে ইতিহাস?

ফুলরেণু গুহ কমিটির সুপারিশে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে মহিলা কমিশনের জন্ম। উনিশশো বিরানব্বই সালের বাইশে জুন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে পাস হয় রাজ্য মহিলা কমিশন আইন। উনিশশো তিরানব্বইয়ের তেসরা ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে রাজ্য মহিলা কমিশন। আইনে, রাজ্য মহিলা কমিশনকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় একটি দেওয়ানি আদালতের সমান ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার যথাযত রক্ষা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখাই কমিশনের কাজ। কোথাও নারীর অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিও চাইতে পারে কমিশন। তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনও ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো অথবা হলফনামা চাওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের।

আইনে যাই বলা থাকুক দোলা সেনের মতে, সরকারকে সাহায্য করাই কমিশনের কাজ। আবার নিজেই স্বীকার করেছেন, আইন জানা নেই তাঁর।

তাপস পালের কদর্য মন্তব্যকে পুরনো কাসুন্দি বলে ইতিমধ্যেই দায় এড়িয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়। আবার দায়িত্ব নিয়েই ভাইস চেয়ারপার্সন বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গত করাই হবে কমিশনের কাজ। দুই প্রধানের বক্তব্য থেকে প্রশ্ন জাগছে, আগামিদিনে কি শুধুমাত্র কাগজে কলমেই স্বশাসিত থেকে যাবে এই সংস্থা?

.