'বুকের বা দিকে ব্যাথা হচ্ছে', জেলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফের এসএসকেএমেই 'প্রাক্তন মন্ত্রী'?

জেলখানার বদলে কি এবারও বন্দি মদন মিত্রের জায়গা হবে এসএসকেএমে? জল্পনাটা নিজেই উস্কে দিয়েছেন খোদ মন্ত্রী মশাই। গতকাল আদালতে যাওয়ার পথে তাঁর বুকের বা দিকে ব্যাথা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মদন মিত্র। জেল হেফাজতের নির্দেশের সময়ও মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্সের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। ফলে এবারও শেষপর্যন্ত  বন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী এসএসকেএমেই যান কি না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

Updated By: Nov 20, 2015, 09:06 AM IST
'বুকের বা দিকে ব্যাথা হচ্ছে', জেলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফের এসএসকেএমেই 'প্রাক্তন মন্ত্রী'?

ওয়েব ডেস্ক: জেলখানার বদলে কি এবারও বন্দি মদন মিত্রের জায়গা হবে এসএসকেএমে? জল্পনাটা নিজেই উস্কে দিয়েছেন খোদ মন্ত্রী মশাই। গতকাল আদালতে যাওয়ার পথে তাঁর বুকের বা দিকে ব্যাথা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মদন মিত্র। জেল হেফাজতের নির্দেশের সময়ও মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্সের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। ফলে এবারও শেষপর্যন্ত  বন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী এসএসকেএমেই যান কি না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

ফের জেলে মদন মিত্র। দিনভর নানা টানাপোড়েনের পর গতকাল রাতেই কড়া নিরাপত্তায় আলিপুর জেলে আনা হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। তেসরা ডিসেম্বর পর্যন্ত মদন মিত্রের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিকেল ৪.০০
বাড়ি থেকে আদালতের পথে... বাড়ি থেকে আদালতের পথে রওনা দিলেন মদন মিত্র। বললেন আদালতের সব নির্দেশ মেনে  চলব।

বিকেল ৪.১৫
আলিপুর আদালতে মদন মিত্র। মিনিট পনেরোর মধ্যেই আদালতে পৌছে যান প্রাক্তন মন্ত্রী। আদালতের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। হাইকোর্টের রায়ের কপি পৌঁছনোর অপেক্ষা।

বিকেল ৪.৩০
বার লাইব্রেরিতে বসেন মদন মিত্র। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বার লাইব্রেরিতে গিয়ে বসেন মদন মিত্র। হাইকোর্টের রায়ের কপি কখন আসবে শুরু হয় অপেক্ষা। হাইকোর্টের নির্দেশের কপিতে টাইপিংয়ের ভুলে মতুন করে নির্দেশ লেখা শুরু হয়।

রাত ১০.৪৫
টানা সাড়ে  ৬ ঘণ্টারও বেশি বার লাইব্রেরিতেই মদন।

রাত
১১.১০
হাইকোর্ট থেকে বাইশ পাতা রায়ের কপি পৌঁছল আলিপুর আদালতে।

রাত ১১.১৫
এজলাসে মদন, আত্মসমর্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু। বার লাইব্রেরি থেকে কোর্টরুমে পৌছলেন মদন মিত্র। সঙ্গে আইনজীবী ও পরিবারের লোকজন।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান। মদন মিত্রের  চোদ্দ দিনের জেলহেফাজতের নির্দেশে দেয় আদালত। প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা পাবেন প্রাক্তন মন্ত্রী, জানালেন আইনজীবীরা।

সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিশেষ নিরাপত্তায় নিজের গাড়িতে চড়েই আলিপুর সংশোধনাগারের দিকে রওণা হয়ে যায় মদন মিত্রের গাড়ি। ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁইছুঁই। মদন মিত্রের গাড়ি পৌছে গেল আলিপুর জেলে। আলিপুর জেলে কড়া নিরাপত্তা, বাইরের নিরাপত্তাও আঁটোসাটো করা হয়েছে। মন্ত্রীর অনুগামীদের ঠাসা ভিড়।  
 
জেলের ছয় নম্বর ওয়ার্ডেই থাকবেন মদন মিত্র। রাতে বাড়ির দেওয়া খাওয়ারই কারারক্ষী মারফত পাঠানো হয় জেলবন্দি মদনের কাছে।

.