মৃত্যুর সাত সত্যি

Updated By: Dec 2, 2015, 04:28 PM IST
মৃত্যুর সাত সত্যি

পার্থ প্রতিম চন্দ্র

জন্মেছেন যখন মরতেই হবে। এ কথাটা সবারই জানা। কিন্তু জানেন কি এই মৃত্যু নিয়েই আমাদের কিছু অবাক করা তথ্য আছে। মৃত্যু সংক্রান্ত এমনই সাতটা তথ্য--

৭) মৃত্যুর সময়ও বীর্যপাত হতে পারে--জীবিত অবস্থায় মানুষ যেটা সবচেয়ে উপভোগ করে সেটা মৃত্যুর সময়ও হতে পারে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে বীর্যপাত হয়েছে। যৌনাঙ্গে পেশি শক্ত হয়ে যায় এবং যন্ত্রণা অনুভব হয়। এই কারণে মৃত্যুর সময় বীর্যপাত হতে পারে।

৬) বাঁ হাতি লোকেদের আয়ু কম হয়-পৃথিবীতে ডান হাতি মানুষের সংখ্যাই বেশি। যত প্রোডাক্ট পৃথিবীতে তৈরি হয় তার প্রায় সবগুলোই ডানহাতি মানুষদের কথা ভেবে করা হয়। প্রতি বছর আড়াই বছর বাঁ হাতি মানুষ মারা যায় ডান হাতি মানুষদের প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ভুলে।  শুধু তাই নয় বাম হাতি মানুষদের আয়ু ডান হাতি মানুষদের চেয়ে কম হয়। ডান হাতি মানুষের গড় আয়ু ৭৫, সেখানে বাঁ হাতিদের গড় আয়ু ৬৬।

৫) ডাক্তারদের খারাপ হাতের লেখার কারণে বহু রোগী মারা যান-ডাক্তাররা দুর্বোধ্য ভাষায় প্রেসক্রিপশন লেখেন। এর অনেক অন্য যুক্তি আছে। কিন্তু গবেষণা বলছে ডাক্তারদের এই খারাপ হাতের লেখার কারণে গোটা বিশ্বে প্রতি বছর সাত হাজার মানুষ মারা যান। ডাক্তারের খারাপ হাতের লেখা বুঝতে না পেরে ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা ভুল ওষুধ দিয়ে ফেলেন। ফলে অনেক রোগী অন্য ওষুধ খেয়ে মারা যান। এই জন্য বিসঅবের বেশ কিছু দেশের হাসপাতালে এখন ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়।

৪) খুব হাসতে হাসতে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে-শরীরের পক্ষে হাসি ভাল। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হার্ট ভাল থাকে, গোটা শরীর রিলাক্স থাকে। কিন্তু জানেন কী অত্যধিক হাসি কখনও কখনও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন মাত্রাতিরিক্ত হাসির ফলে এই পৃথিবীতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য চেরিসিপাস নামের এক গ্রিক দার্শনিক। একদিন তিনি দেখেন একটা গাধা ডুমুর খাচ্ছে। তিনি তা দেখে তার এক চাকরকে নির্দেশ দেন ডুমুরটা যাতে গাধাটা না খেতে পারে তার জন্য যেন ওয়াইন দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলা হয়। ওয়াইন ঢেলে ডুমুর ধুয়ে দেওয়ার পর গাধাটা সেই ওয়াইন খেতে শুরু করে। এই ঘটনাটা দেখে এতটাই হাসতে থাকনে সেই গ্রিক দার্শনিক যে তিনি প্রাণ হারেন।  

৩) মৃত্যুকে পিছিয়ে দেওয়া যায়-মৃত্যুকে ঠকিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ডেভিড লান্ট নামের এক ব্যক্তি। ১৮৭৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ডাকোটায় তার মাথায় গুলি করে পালায় দুষ্কৃতিরা। অন্য যে কেউ হলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারাতেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ঘটনার ৬৭টি দিন পর মারা যান লান্ট। ডাক্তাররা বুঝতে পারেননি মাথায় এতগুলো গুলি লাগা সত্ত্বেও কী করে এতদিন বেঁচে ছিলেন লান্ট। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয় ডান্ট কিন্তু প্রচন্ড মাথা ব্যথার কারণে মারা যান, গুলি লাগার কারণে নয়।

২) মৃতদেহকে কেটে শকুনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়--বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষ শেষকৃত্য করে বিভিন্ন উপায়ে। এই যেমন তিব্বতের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ ছোট ছোট করে কেটে তা চিল, শকুনদের মধ্যে বিতরণ করেন।

১)  বিশেষ প্রতিক্রিয়ায় মৃতদেহ থেকে সাবান তৈরি করা হয়-মানুষের মৃত শরীরকে বিশেষ উপায়ে সাবান তৈরি করা হয়। একে বলা হয় Saponification। মৃত মানুষের শরীরের চর্বি আর ক্ষারজাতীয় বস্তুগুলিকে গলিয়ে তৈরি হয় সাবান। ১৮৭৫ সালে ফিলাদেলফিয়ার এক রেল স্টেশনের সামনে এক মমি মৃতদেহ থেকে প্রথমবার সাবান তৈরি হয়।   

 

Tags:
.