রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত সিবিএসই শীর্ষ স্থানাধিকারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ হরিয়ানায়
নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সেরেছে তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থানাধিকারী এবং রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার পাওয়া ১৯ বছরের ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল হরিয়ানায়। বুধবার ওই ছাত্রীটি একটি বাস স্ট্যান্ডে অচৈতণ্য না হওয়া পর্যন্ত তাঁর উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
নিগৃহীতার তরফে দাবি, দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী রিওয়ারিতে তাঁর গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিল। সে সময় তিন যুবক একটি গাড়িতে করে এসে দাঁড়ায় এবং ছাত্রীটিকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। তিন যুবক যখন ছাত্রীটিকে ক্ষেতে টেনে নিয়ে যায়, তখন সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পুরুষরাও তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযোগকারিণীর দাবি, ধর্ষকরা সকলেই তাঁর গ্রামের।
Rewari: Woman alleges her daughter was kidnapped&ganag-raped by a group of men y'day,says, "My daughter was rewarded by Modi ji after she topped the CBSE board exams. Modi ji says 'Beti Padho, Beti Bacho', but how? I want justice for my daughter. Police has taken no action yet. " pic.twitter.com/n1t2avUsi1
— ANI (@ANI) September 14, 2018
নিগৃহীতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাদের অভিযোগে প্রথমে খুব একটা আমল দেয়নি স্থানীয় থানা। কেবল একটা এফআইআর নিয়েই দায় সেরেছে তারা। বরং অভিযোগ দায়ের করতে ছাত্রীর পরিবারের লোকদের এক থানা থেকে অন্য থানায় ছুটে বেড়াতে হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ক্ষোভে যন্ত্রণায় কাতর ছাত্রীটির মা বলেন, "আমার মেয়ে সিবিএসই-তে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিল, স্বয়ং মোদীজির হাত থেকেও পুরস্কার নিয়েছে। মোদীজি বলেন, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও। কিন্তু, তা আর কীভাবে সম্ভব? আমি বিচার চাই, পুলিস এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি"।
এক পুলিস অফিসারের দাবি, এই ঘটনায় 'জিরো এফআইআর' দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর যখন সেই অভিযোগ অন্য থানায় (অপরাধের এলাকা সংশ্লিষ্ট থানার) দায়ের করা হয়, তখন 'জিরো এফআইআর' নথিভুক্ত করা হয়। এই এইআইআর পরবর্তীকালে সঠিক থানায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। পুলিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, এই 'জিরো এফআইআর' ইতিমধ্যে 'রেগুলার এইআইআর'-এ পরিণত হয়েছে। যে থানার অধীন এলাকায় অপরাধটি ঘটেছে, সেখানেই অফআইআরটি স্থানান্তরিত করা হয়ে গিয়েছে।