গুজরাট নির্বাচনের আগে আরও একটা লাড্ডু মোদীর হাতে

গুজরাট ভোটের আগে কংগ্রেসের হাতে পেন্সিল ধরালেন নরেন্দ্র মোদী। 

Updated By: Nov 17, 2017, 07:18 PM IST
গুজরাট নির্বাচনের আগে আরও একটা লাড্ডু মোদীর হাতে

নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদীর খাসতালুক গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক সপ্তাহ। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর হাসি চওড়া করল আন্তজার্তিক রেটিং সংস্থা মুডিজ। ভোটপ্রচারে অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে যখন সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। কখনও জিএসটি-কে 'গব্বর সিং ট্যাক্স', কখনও আবার নোট বাতিলের জেরে সাধারণ মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং কংগ্রেস সহ-সভাপতি। কিন্তু, দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্ক ও মুডিজের ইতিবাচক পর্যবেক্ষণের পর তাঁর আক্রমণের ধার ভোঁতা হল বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। এই জোড়া অস্ত্র নিয়েই গুজরাটে এবার প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে তারা।   

মুডিজের রেটিং পর্যালোচনার আগে বিশ্বব্যাঙ্কের শিল্পবান্ধব দেশের তালিকায় ৩০ ধাপ এগিয়েছিল ভারত। মার্কিন সমীক্ষক সংস্থা পিউ রিচার্সের সমীক্ষা বলছে, মোদীর জনপ্রিয়তা এখনও প্রশ্নাতীত। ফলে মোদী সরকারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ইতিবাচক পরিস্থিতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর দু'হাতেই লাড্ডু।বিরোধী আক্রমণের জবাব দেওয়ার ব্রহ্মাস্ত্র তাঁর কাছে। 

গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে নোট বাতিল ও জিএসটি-তে হাতিয়ার করে মোদীকে আক্রমণ শানাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। টালমাটাল অর্থনীতির অভিযোগ তুলছেন। সেই পরিস্থিতিতে মুডিজের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট সেই আক্রমণের ধার ভোঁতা করবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে পিউ রিচার্সের ফল। তারা জানিয়েছে, ১০ জন ভারতীয়র মধ্যে ৯ জনই মোদীকে সমর্থন করেন। দিন কয়েক আগে আসিয়ান সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর্থিক সংস্কার থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তিরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি।     

আরও পড়ুন- মুখ বাঁচাতে খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে সরকার, মুডিজ রেটিংয়ের কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া

২০০৪ সালের পর এই প্রথম ভারতের রেটিং বাড়াল আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিজ। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বা সহজে ব্যবসার করা যায় এমন দেশের তালিকায় ভারতকে ৩০ ধাপ উপরে তুলে ১০০ নম্বর স্থানে রেখেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। সম্প্রতি দরাজহস্তে প্রধানমন্ত্রীর তারিফ করেছেন বিশ্বব্যাঙ্কের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, ২০৪৭ সালের আগে বিশ্বে ভারতই সর্বোচ্চ মধ্য আয়ের দেশ হবে।    

আরও পড়ুন- আর্থিক সংস্কার নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন এবার আত্মমন্থন করুন, খোঁচা জেটলির         

রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদী সরকার সঠিক পথে চলছে, তা  প্রতিফলিত হচ্ছে একের পর এক রিপোর্টে। এই পরিস্থিতিতে আবারও মোদীর মাহাত্ম্য তুলে ধরে আরও একটা রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে, অর্থনীতি ছেড়ে এবার নতুন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামতে হবে কংগ্রেসকে। 

.