কুক বিক্রমে দিশাহারা ধোনিবাহিনী

অ্যালেস্টার কুকের বৃহস্পতি এখন সত্যিই তুঙ্গে। ভারতের মাটিতে তাঁর শতরানের সিলসিলাতো তিন টেস্ট ধরেই অব্যাহত। আপাতত ইডেনের ২২ গজে ভারতীয় বোলারদের নির্বিষ বোলিং নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করছেন। তার সঙ্গে কুকের কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিংয়ের কাছেও কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। দু`-দুবার তাঁর ক্যাচ ফেলার দুঃসাহস দেখালেন ভারতীয় ফিল্ডাররা! এই রকম একটা ম্যাচে যেখানে হাতে সাকুল্যে ৩১৬টি রান পুঁজি, সেখানে ব্রিটিশ অধিনায়কের প্রতি ভারতীয়দের `বদান্যতার` কোন কিনারা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। কাল থেকে অবিশ্রান্ত হাত ঘুরিয়েও ভারতীয় শিবিরের প্রাপ্তি মাত্র একটি উইকেট। আজ টেস্টের তৃতীয় দিনে লাঞ্চ পর্যন্ত দুই পেসার আর দুই স্পিনারের প্রচুর কসরত সত্ত্বেও ধোনি এন্ড কোম্পানির প্রাপ্তির ভাঁড়ার সেই শূন্যই। লাঞ্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর এক উইকেট হারিয়ে ২৯৬। মাঠে ১৬৭ রানে অপরাজিত ক্যাপ্টেন কুক। তাঁর সঙ্গেই ৬৬ রানে ব্যাট করছেন ট্রট।

Updated By: Dec 7, 2012, 12:30 PM IST

ভারত- ৩১৬
ইংল্যান্ড-৩৩৮/১
অ্যালেস্টার কুক-১৮৮
জনাথন ট্রট-৮৭
অ্যালেস্টার কুকের বৃহস্পতি এখন সত্যিই তুঙ্গে। ভারতের মাটিতে তাঁর শতরানের সিলসিলাতো তিন টেস্ট ধরেই অব্যাহত। আপাতত ইডেনের ২২ গজে ভারতীয় বোলারদের নির্বিষ বোলিং নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করছেন। তার সঙ্গে কুকের কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিংয়ের কাছেও কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। দু`-দুবার তাঁর ক্যাচ ফেলার দুঃসাহস দেখালেন ভারতীয় ফিল্ডাররা! এই রকম একটা ম্যাচে যেখানে হাতে সাকুল্যে ৩১৬টি রান পুঁজি, সেখানে ব্রিটিশ অধিনায়কের প্রতি ভারতীয়দের `বদান্যতার` কোন কিনারা খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। কাল থেকে অবিশ্রান্ত হাত ঘুরিয়েও ভারতীয় শিবিরের প্রাপ্তি মাত্র একটি উইকেট। আজ টেস্টের তৃতীয় দিনে লাঞ্চ পর্যন্ত দুই পেসার আর দুই স্পিনারের প্রচুর কসরত সত্ত্বেও ধোনি এন্ড কোম্পানির প্রাপ্তির ভাঁড়ার সেই শূন্যই। লাঞ্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্কোর এক উইকেট হারিয়ে ২৯৬। মাঠে ১৬৭ রানে অপরাজিত ক্যাপ্টেন কুক। তাঁর সঙ্গেই ৬৬ রানে ব্যাট করছেন ট্রট।
লাঞ্চে টিম ইন্ডিয়ার মেনুতে প্রথমেই থাকা উচিত কী ভাবে ব্রিটিশ অধিনায়ককে জলদি জলদি বিপক্ষ ড্রেসিংরুমে পাঠানো যায় তার সুলুক সন্ধান। তা না হলে ক্যাপ্টেন কুকের জাহাজ কোন রানের পাহাড়ের দিকে তাঁর দলকে টেনে নিয়ে যাবে, তার অনুমান কিছুটা হলেও করতে পারছেন মাহিরা। ট্রট কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ জমাট বেঁধে বসেছেন। কোন দৈব ক্রমে ভারতীয় বোলাররা যদি ফর্মে ফিরে এসে কুক-ট্রট জুটি ভেঙেও ফেলেন তাতেও বিপদ এখনই কাটছে না। কারণ এর পরের ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের নাম গুলো ধারে ও ভারে বেশ ভারী। ইয়ান বেল, ম্যাট প্রায়রতো আছেনই, এখনই কিন্তু পায়ে প্যাড বেঁধে মাঠে নামতে প্রস্তুত হয়ে বসে আছেন কেভিন পিটারসন। ওয়াংখেড়েতেই সম্প্রতি নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পেয়েছেন তিনি। তার ঝলক যে ইডেনেও দেখা যাবে না তার কি গ্যারান্টী আছে? নিজের দিনে কেপি যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন তা বিলক্ষণ জানেন অশ্বিন-ওঝারা।
বিপদ অবশ্য এতেই কাটছে না। তিন দিন কেটে গেলে ইডেন পিচের চরিত্র কিন্তু এক্কেবারে বদলে যায়। সে কী খেল দেখাবে তার সুলুক সন্ধান বোধ হয় প্রবীর বাবুর কাছেও নেই। ইডেনের ভাঙা পিচে বল কী গতিতে ঘোরে তার সম্মুখ অভিজ্ঞতা টিম ইন্ডিয়ার সকলেরই কম বেশি আছে। এমনিতেই স্পিন পিচে অপরাজেয়র খেতাবটা ভারতীয় দল ওয়াংখেড়েই মোটামুটি বিসর্জন দিয়ে এসেছে। ইডেনেও প্রথম ইংনিসে গুছিয়ে সেই ধারাই বহন করেছে তারা। অতএব সাধু, এখন থেকেই সাবধান হওয়া ভাল।

.