৫ বছরে ইয়েস ব্যাঙ্কের ৫৫,০০০ কোটির ঋণ কীভাবে ২,৪১,০০০ কোটি? প্রশ্ন চিদম্বরমের

Yes Bank-এর আর্থিক অবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা রাহুলের।  

Updated By: Mar 6, 2020, 07:34 PM IST
৫ বছরে ইয়েস ব্যাঙ্কের ৫৫,০০০ কোটির ঋণ কীভাবে ২,৪১,০০০ কোটি? প্রশ্ন চিদম্বরমের

নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একটা ব্যাঙ্ক সংকটে। ইয়েস ব্যাঙ্কের বিপর্যয়ের নেপথ্যে নরেন্দ্র মোদীর ভাবনাকে কাঠগড়ায় তুললেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি টুইট করেন, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর ভাবনা। সরকারের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করেছেন পি চিদম্বরম।      

 শুক্রবার রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন,''নো ইয়েস ব্যাঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর ভাবনাই ভারতীয় অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।''

ইয়েস ব্যাঙ্কের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। তাঁর টুইটে চিদম্বরম লিখেছেন,''৬ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়ন্ত্রণের করার দক্ষতা ক্রমশ সামনে আসছে। প্রথমে পিএমসি ব্যাঙ্ক, এবার ইয়েস ব্যাঙ্ক। সরকার কি চিন্তিত? নিজেদের দায়িত্ব থেকে কি বাঁচতে পারে?  তৃতীয় ব্যাঙ্কও কি লাইনে আছে?'' 

চিদম্বরম আরও লিখেছেন, বিজেপির জমানাতেই ইয়েস ব্যাঙ্কের বকেয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৪ সালের আর্থিক বছরে ছিল ৫৫০০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে ২৪১০০০ কোটি।

ইউপিএ জমানাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সীতারমন। তাঁর জবাবে চিদম্বরম লিখেছেন, ৫৫,৬৩৩ কোটি থেকে কীভাবে ৫ বছরে বকেয়া ঋণ ২৪১৪৯৯ কোটি হল, তার ব্যাখ্যা দেবেন অর্থমন্ত্রী?

বুধবার আরবিআই নির্দেশিকা জারি করে, এক মাসের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা ৫০,০০০ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ড্রাফট বা পে-অর্ডারের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই। বিশেষ ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ছাড়। অসুস্থতা, পড়াশুনো ও বিয়ের জন্য ৫০ হাজারের ঊর্ধ্বসীমা প্রযোজ্য নয়। ইয়েস ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কুমারকে। ব্যাঙ্কের ২০ হাজার কর্মী বেতনও পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও এলআইসি যৌথভাবে ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব হাতে নিক। 

আরও পড়ুন- 'পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে', অমিত শাহকে নালিশ রাজ্যপালের
       

.