শিলিগুড়ির লেকটাউনে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী
শিলিগুড়ির লেকটাউনে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। মাথা থেঁতলে খুন করা হয় মহিলাকে। পুলিসের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে স্বামী। মৃত শিখা দাস অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী।স্বামী ও তাঁর প্রথম পক্ষের দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: শিলিগুড়ির লেকটাউনে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। মাথা থেঁতলে খুন করা হয় মহিলাকে। পুলিসের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে স্বামী। মৃত শিখা দাস অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী।স্বামী ও তাঁর প্রথম পক্ষের দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
রবিবার। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা। শিলিগুড়ির লেকটাউনের একটি বাড়ি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় ফোনে এক ব্যক্তি জানায়, বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিস। মহিলার মাথার পেছনে আঘাত রয়েছে। এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে আসে মহিলার পরিবারও। খুনের অভিযোগ তোলে তারা।
পুলিসি তদন্তে জানা যায় , মৃত মহিলার নাম শিখা দাস। কয়েকমাস আগে দুর্ঘটনায় তাঁর একটি পা বাদ যায়। বছর চারেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় বছর পঞ্চাশের শান্তনু চক্রবর্তীর। শান্তনুবাবুর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের দুই ছেলের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন শিখাদেবী। অভিযোগ, নানা কারণে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত। শান্তনু চক্রবর্তী ও তাঁর প্রথম পক্ষের দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসি জেরায় শান্তুনু কবুল করে খুনের কথা।
কিন্তু কীভাবে খুন করা হল শিখাদেবীকে... পুলিসসূত্রে খবর, শিখা দাসের মাথার পেছনে নোড়া দিয়ে আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাওয়া দিয়ে ফের আঘাত। খুনের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শান্তনু। ফিরে এসে পুলিসকে ফোন করে শিখা দাসের মৃত্যুর কথা জানায় সে। জানা যাচ্ছে, শান্তনু চক্রবর্তীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেও তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে।