গ্রামের 'ডাক্তার' নাজিবুল্লাই জেএমবি জঙ্গি! আতঙ্কে শিউড়ে উঠছেন গ্রামবাসী

স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ার পরেই নেজামুদ্দিন খানের জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগের কথা জানতে পারেন গ্রামবাসী। 

Updated By: Sep 12, 2019, 11:58 PM IST
গ্রামের 'ডাক্তার' নাজিবুল্লাই জেএমবি জঙ্গি! আতঙ্কে শিউড়ে উঠছেন গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইটাহারের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিয়ার গ্রাম লাগোয়া বোষ্টমটোলা মোড়। ওই মোড়েই ওষুধের দোকানে বসতেন 'ডাক্তার' নাজিবুল্লা খান। চিকিত্সক হিসাবে গ্রামের মানুষজন বেশ মান্যও করত তাকে। সেই ডাক্তারই যে আসলে জেএমবি জঙ্গি নেজামুদ্দিন খান, তা কে জানত! শান্তশিষ্ট গ্রামে প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ডাক্তারের ছদ্মবেশে বাস করছিল জঙ্গি। সেই কথা ভেবেই এখন আতঙ্কে হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীর। 

স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ার পরেই নেজামুদ্দিন খানের জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগের কথা জানতে পারেন গ্রামবাসী। অনেকেই সংবাদমাধ্যম থেকে ডাক্তারবাবুর আসল পরিচয় জানতে পারেন। তারপরই চমকে ওঠেন তাঁরা। এত দিন যিনি ডাক্তারের বেশে চিকিত্সা করেছেন, তাঁরই মাথায় নাশকতার ছক। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, এত দিন ধরে পুলিসের চোখের সামনেই কীভাবে ডাক্তারি চালিয়ে গেল নেজামুদ্দিন? 

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পর পর ২ জেএমবি জঙ্গিকে পাকড়াও করে এসটিএফ। সপ্তাহ দুয়েক আগে গয়া থেকে গ্রেফতার হয় জামাত-উল-মুজাহিদ্দিনের জঙ্গি প্রধান ইজাজ। তাকে পাকড়াও করার পরেই বানচাল হয়ে যায় জঙ্গিদের নাশকতার পরিকল্পনা। তার কয়েকদিন পরেই চেন্নাই থেকে গ্রেফতার হয় আরেক কুখ্যাত জেএমবি জঙ্গি আসাদুল্লাহ। জেরায় জানা যায়, ইজাজকে যেদিন গ্রেফতার করা হয়, সেদিনই গয়াতেই একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল সে। ইজাজের গ্রেফতারির পরেই সেখান থেকে সে চম্পট দেয়। প্রথমে ধানবাদ ও পড়ে দুটি ট্রেন বদল করে চেন্নাই পালায় সে। পুলিসের নজর ঘোরাতে স্ত্রী ও ৫ সন্তানকে বর্ধমানে পাঠিয়ে দেয় আসাদুল্লাহ।  

ধৃত দুই জঙ্গিকে লাগাতার জেরা করেন পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। আর তার থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় রোহিঙ্গাদের সমর্থনে অসমে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জেএমবি। আর তার মূলে ছিল ধৃত দুই জঙ্গি। জেরায় ইজাজ ও আসাদুল্লাহ জানায় অসমে নাশকতার লক্ষ্যে প্রায় ১০০ জন জঙ্গি বাছাইও সেরে ফেলেছিল তারা। 

পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গি কার্যকলাপ নির্বিঘ্নে সারতে বিশেষ এনক্রিপটেড প্ল্যাটফর্মে চ্যাট করা হত। সেখানেই জেএমবির বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। পাঠানো হত গোপন সংকেত। সিম ব্য়বহার না করায় এবং চ্যাট এনক্রিপটেড হওয়ায় সেগুলির হদিশও পেতেন না গোয়েন্দারা। সেই চ্যাট থেকেও ফাঁস হয়েছে নাশকতার পরিকল্পনা।

আরও পড়ুন- হিন্দুরা এদেশেই থাকবেন, বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হবে: দিলীপ

.