অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য বিজেপি
এদিন বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে সমস্ত জায়গায় আবেদন জানিয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্যপাল, কারও কাছেই দরবার করতে বাকি রাখেনি দল। তবু জেলায় জেলায় থামছে না মনোনয়ন সন্ত্রাস।
ওয়েব ডেস্ক: অবাধ পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে তারা। দিনকয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের হয়ে মামলা লড়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের বিশেষ দল গঠন করেছে বিজেপি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাঁরাই।
এদিন বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে সমস্ত জায়গায় আবেদন জানিয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন থেকে রাজ্যপাল, কারও কাছেই দরবার করতে বাকি রাখেনি দল। তবু জেলায় জেলায় থামছে না মনোনয়ন সন্ত্রাস।
তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে দিলীপবাবু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন ব্যক্তিগতভাবে তাদের সঙ্গে সহমত হলেও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি মানতে রাজি নয়। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানাতে পারছে না কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী বাহিনী রয়েছে রাজ্যের কাছে? কমিশনারকে প্রশ্ন রাজ্যপালের
দিলীপবাবুর অভিযোগ, সম্প্রতি রানিগঞ্জ ও আসানসোল অশান্তিতে রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর প্রশ্ন, যে পুলিস ২টি এলাকায় অশান্তি রুখতে পারে না তারা ৪৯,০০০ বুথে কী করে ভোট করাবে?
এক কদম এগিয়ে দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েতের মনোনয়নে গুন্ডা নামিয়ে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। তাদের প্রতিহত করার পর পড়তে হচ্ছে পুলিসি বাধার মুখে। সরকার, দল, দুষ্কৃতী ও পুলিস মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন দিলীপবাবু।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস পূর্বপরিকল্পিত বলেও অভিযোগ করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ৯ এপ্রিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ এপ্রিল। বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য এই বিপুল সময় হাতে রেখেছে তৃণমূল।
২০১৩-সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বেনজির বিবাদে জড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশিকা নিয়ে এলেও তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি।