ফেসবুক কর্মীদের উপর অ্যাপলের গ্যাজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

নিজের সংস্থার কর্মীদের আই ফোন-সহ অ্যাপলের সমস্ত গ্যাজেট ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞাই জারি করেছেন তিনি। অ্যাপলের পরিবর্তে কর্মীদের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারের কথা বলেছেন জুকারবার্গ।

Updated By: Nov 16, 2018, 08:23 AM IST
ফেসবুক কর্মীদের উপর অ্যাপলের গ্যাজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদন: ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে বার বার ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। নিরাপত্তা জাল কেটে কোটি কোটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য হ্যাক হওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। ফেসবুক এ কথা স্বীকার করেছে যে, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়ার কাজে গ্রাহকের ফোন নম্বরই ব্যবহার করেন তারা। অর্থাত্, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনি যে ফোন নম্বর ফেসবুক-এ দিয়েছেন, ফেসবুক তা দিয়েই বিজ্ঞাপনী প্রচার বা ব্যবসা চালাচ্ছে। কিন্তু নিজেরা স্বীকার করলেও এই একই কথা বোধহয় টিম কুকের মুখ থেকেও শুনতে হবে, তা হয়তো ভাবেননি জুকারবার্গ। তাই চটে গিয়ে নিজের সংস্থার কর্মীদের আই ফোন-সহ অ্যাপলের সমস্ত গ্যাজেট ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞাই জারি করেছেন তিনি। অ্যাপলের পরিবর্তে কর্মীদের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারের কথা বলেছেন জুকারবার্গ।

টিম কুকের ঠিক কোন কথায় এতটা চটলেন মার্ক জুকারবার্গ?

সম্প্রতি একটি মার্কিন টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে অ্যাপল কর্ণধার বলেন, “আই ফোন-সহ সংস্থার অন্যান্য গ্যাজেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে না অ্যাপল। গোপনীয়তা আসলে মানবাধিকার। এটি নাগরিক স্বাধীনতার অঙ্গ।” এই অনুষ্ঠানেই কুককে প্রশ্ন করা হয়, যদি তিনি জুকেরবার্গের পরিস্থিতিতে থাকতেন তাহলে কী করতেন? এর উত্তরে তিনি জানান, “আমি কখনই এই ধরণের পরিস্থিতিতে থাকব না।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, টিম কুক হয়তো এই কথাগুলো ফেসবুককে উদ্দেশ্য করে বলেননি। তিনি গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টিতেই জোর দিতে চেয়েছেন। তবে অ্যাপল কর্ণধার যে উদ্দেশ্যেই বলে থাকুন, তাঁর এই সাক্ষাৎকার সম্প্রোচারিত হওয়ার পরই কর্মীদের আই ফোন-সহ অ্যাপলের সমস্ত গ্যাজেট ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞাই জারি করেন জুকারবার্গ। তবে অনেকেই মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। অ্যান্ড্রয়েডের ফোনের ব্যবহারের পরিমানও আইফোনের থেকে অনেক বেশি। এ দিকে, স্ন্যাপচ্যাটও কর্মীদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করছে। ফলে বর্তমান চাহিদার কথা মাথায় রেখেই জুকারবার্গ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে।

.