বুলেট ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ

বসন্ত এসে গেছে। দেশজুড়ে ছুটে বেড়ানোর সময়। চাহিদা বাড়ছে বুলেট ট্রেনের টিকিটের। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের maintenance-এর দিকে নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চিনে কীভাবে হয় বুলেট ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ? চলুন জেনে নিই।

Updated By: Jan 27, 2017, 11:31 PM IST
বুলেট ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ

ওয়েব ডেস্ক: বসন্ত এসে গেছে। দেশজুড়ে ছুটে বেড়ানোর সময়। চাহিদা বাড়ছে বুলেট ট্রেনের টিকিটের। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের maintenance-এর দিকে নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চিনে কীভাবে হয় বুলেট ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ? চলুন জেনে নিই।

কুনমিং থেকে বেজিং। দূরত্ব ২ হাজার ৭৬০ কিলোমিটার। বুলেট ট্রেনে এই পথ পেরোতে সময় লাগে মাত্র ১৩ ঘণ্টা। গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার।

এটা তো একটা উদাহরণ মাত্র। চিনজুড়ে এরকম গতির উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি। কারণ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে বাসিন্দাদের পছন্দ বুলেট ট্রেন। ফলে চিনে হাইস্পিড ট্রেনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আর উত্‍সবের মরসুমে তো কথাই নেই।

আরও পড়ুন- ফুল, চন্দনের বদলে দামি মদ ও সিগারেটে খুশ ধনদেবতা একোকো

চাহিদার কথা মাথায় রেখে শুধু ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালেই তো আর হল না, প্রয়োজন রক্ষণাবেক্ষণেরও। তা না হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেজন্য ২০০৯ সালে মধ্য চিনের Wuhan শহরে তৈরি হয় বুলেট ট্রেনের অত্যাধুনিক Maintenance সেন্টার। ১৪২ হেক্টর এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এই অত্যাধুনিক রক্ষণাবেঙণ কেন্দ্রে একসঙ্গে ১২৮ ট্রেনের মেরামত সম্ভব।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাতেই এই কাজ চলে। রেকগুলি সংরক্ষণ কেন্দ্রে আসার পরই শুরু হয় পরিষ্কারের কাজ। প্রতিটি রেকের ১৬টি কোচ সাফাইয়ে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। তারপর একএকটি রেক যায় Washing Zone-এ।

সাফ-সাফাইয়ের পর কম্পিউটারের সাহায্যে যান্ত্রিক ত্রুটি পরীক্ষা করেন ইঞ্জিনিয়াররা। কোনও কিছু ধরা পড়লে, দ্রুত তা মেরামত করা হয়। তাও খুব অল্প সময়ে। প্রতিদিন কয়েকশো বুলেট ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ হয় এখানে। Maintenance Centre-এ কর্মী সংখ্যা ২ হাজার ২৫৬জন।

আরও পড়ুন- ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে আলোকিত হয়ে উঠল দুবাইয়ের বুর্জ খালিফা!(দেখুন ভিডিও)

বসন্ত উত্‍সব শুরুর প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৫২ কোটি বুলেট ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে। জানাচ্ছে চিনের পরিবহণ মন্ত্রক। যত দিন গড়াবে, টিকিট বিক্রির সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে প্রশাসন। ফলে বুলেট ট্রেনের ওপর চাপ আরও বাড়বে। তাই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীদের এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই চিনে।

.