নরওয়ের শিশু-বিতর্ক এবার গড়াচ্ছে বর্ধমানের আদালতে

দীর্ঘ আইনি লড়াই আর অপেক্ষার পরে এখনও স্বস্তি নেই ক্ষুদে অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্যর। বর্তমানে তাদের ঠিকানা কুলটির রানিতলায় ঠাকুমা-ঠাকুর্দার বাড়ি। তবে শিশুদের হেফাজত নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে ফের দেখা দিয়েছে আইনি জটিলতা। শুক্রবার কুলটি থানায় শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন সাগরিকা।

Updated By: Jun 2, 2012, 09:57 AM IST

দীর্ঘ আইনি লড়াই আর অপেক্ষার পরে এখনও স্বস্তি নেই ক্ষুদে  অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্যর। বর্তমানে তাদের ঠিকানা কুলটির  রানিতলায় ঠাকুমা-ঠাকুর্দার বাড়ি। তবে শিশুদের হেফাজত নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে ফের দেখা দিয়েছে আইনি জটিলতা।  শুক্রবার কুলটি থানায় শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন সাগরিকা। অন্যদিকে অভিযোগ মানতে নারাজ সাগরিকার শ্বশুর অজয় ভট্টাচার্য। 
নরওয়েতে আইনি লড়াইয়ে জিতে গেলেও, শিশুদের হেফাজত প্রসঙ্গে এবার পরস্পরের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন মা সাগরিকা ভট্টাচার্য এবং ঠাকুরদা অজয় ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে সন্তানদের দেখা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আগেই কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন  সাগরিকা। এখানেই শেষ নয়। শুক্রবার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফের কুলটি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন সাগরিকা।
সাগরিকার অভিযোগ, সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে বৃন্দাবনগলির বাড়িতে গেলে তাঁকে রীতিমতো মারধর করেন শ্বশুড় শ্বাশুড়ি এবং দেওর অরুণাভাস ভট্টাচার্য। সাগরিকার মামিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে সাগরিকার শ্বশুর অজয় ভট্টাচার্যের অভিযোগ কুলটিতে এসে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়ে অশান্তি বাঁধাচ্ছেন সাগরিকাই। গত ২৫ মে সাগরিকার বিরুদ্ধে কুলটি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন অজয়বাবুও। অভিযোগ, বাচ্চাদের নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আত্মীয়দের নিয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়েছেন সাগরিকা। শুক্রবারের ঘটনায় অযথা তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ অরুণাভাস ভট্টাচার্যের।

শুরুটা হয়েছিল বছরখানেক আগে নরওয়েতে। সেখানকার শিশু কল্যান বিভাগ ছোট্ট অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে লড়াই শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে গত ২৪ এপ্রিল কাকা অরুণাভাস ভট্টাচার্যের সঙ্গে নরওয়ে থেকে কলকাতায় ফেরে অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্য। দীর্ঘ সময় পরে ২৫শে এপ্রিল সিঁথিতে এক আত্মীয়র বাড়িতে মা সাগরিকার সঙ্গে দেখাও হয় তাদের। দিনতিনেক কলকাতায় কাটিয় ঠাকুর্দা-ঠাকুমার বাড়িতে নিয়ে আসা হয় অভিজ্ঞান-ঐশ্বর্যকে। আর এরপরেই শিশুদের হেফাজত নিয়ে পারিবারিক কাজিয়া শুরু হয় মা -ঠাকুর্দার মধ্যে। ফলে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর দেশে ফিরেও দুটি শিশুর হয়রানির শেষ নেই। কিন্তু এবার লড়াইটা পরিবারের মধ্যেই। অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্য হেফাজত নিয়ে পারিবারিক কাজিয়া পৌঁছেছে থানা পুলিস পর্যন্ত। নিষ্পাপ চোখের এই শিশু দুটির পক্ষে যাবতীয় জটিলতা বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশের মাটিতে এই নতুন দফা টানাপোড়েনের কোনও প্রভাবই কী তাদের শিশুমনে পড়ছে না?

.