ওএনজিসির প্রকল্পে কাঁটা রাজ্যের জমিনীতি

শেল গ্যাস নিয়ে রাজ্যে ওএনজিসি-র সম্ভাব্য বিনিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জমি সমস্যা। বর্ধমান জেলায় এই প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল সম্ভার রয়েছে। কিন্তু জমির অভাবে তা আদৌ ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে ওএনজিসি।

Updated By: May 17, 2013, 05:51 PM IST

শেল গ্যাস নিয়ে রাজ্যে ওএনজিসি-র সম্ভাব্য বিনিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জমি সমস্যা। বর্ধমান জেলায় এই প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল সম্ভার রয়েছে। কিন্তু জমির অভাবে তা আদৌ ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে ওএনজিসি।
বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। মানুষের বিপুল চাহিদা মেটাতে গিয়ে কমে আসছে সঞ্চিত গ্যাস ও তেলের ভাণ্ডার। সভ্যতাকে সচল রাখতে ভবিষ্যতের ভরসা হিসেবে বিকল্প শক্তিতে জোর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তেমনই একটি শক্তি শেল গ্যাস। মূলত কাদামাটি থেকে গঠিত শিলার মধ্যেই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মেলে। স্লেট পাথরের চেয়েও নরম এক ধরনের পাললিক শিলা, তার মধ্যে থাকে শেল গ্যাস। আমেরিকা থেকে চিন, বিশ্বের সর্বত্রই শেল গ্যাসের কদর বাড়ছে। ভারতের মতো জনবহুল দেশেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। সেইমতো এই গ্যাস সংগ্রহ করে তা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য সক্রিয় হয়েছে ওএনজিসি। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাজও শুরু করেছে তারা। ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অসমের আরাকান, দক্ষিণ ভারতের গণ্ডোয়ানা, বিন্ধ্য এবং রাজস্থানের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে শেল গ্যাসের বিপুল সম্ভার রয়েছে।
 
সারা দেশে মোট যে পরিমাণ উত্তোলনযোগ্য শেল গ্যাস রয়েছে, তার ১৫ শতাংশই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। স্বাভাবিক ভাবেই শেল গ্যাস সংগ্রহের জন্য এরাজ্যকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ওএনজিসি। কিন্তু তাঁদের গভীর চিন্তায় ফেলে দিয়েছে রাজ্যের জমি সমস্যা।
কেন এই আশঙ্কা? ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেল গ্যাস উত্তোলনের জন্য বড় সংখ্যক কূপ খনন করা প্রয়োজন। তার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে জমি প্রয়োজন। অন্যান্য প্রাকৃতিক গ্যাস বা তেল উত্তোলনের জন্য প্রতি বর্গ কিলোমিটারে একটি করে কূপ খনন করতে হয়। কিন্তু শেল গ্যাসের ক্ষেত্রে তা করতে হয় দু থেকে ছটি।
 

.