গরম ভোটের বাজারে আবহাওয়া ঠাণ্ডা করল ক্ষণিকের শিলাবৃষ্টি

শিলাবৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগণা ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। মাঠেই নষ্ট হয়েছে প্রচুর সবজি। ঝরে গেছে আমের মুকুল। ভেঙে পড়েছে প্রচুর কাঁচা বাড়ি। সকালে ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। উত্তর চব্বিশ পরগনার জগদ্দলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলাশাসক।

Updated By: Mar 23, 2014, 08:32 PM IST

শিলাবৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগণা ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। মাঠেই নষ্ট হয়েছে প্রচুর সবজি। ঝরে গেছে আমের মুকুল। ভেঙে পড়েছে প্রচুর কাঁচা বাড়ি। সকালে ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বেশ কয়েকটি এলাকায় পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। উত্তর চব্বিশ পরগনার জগদ্দলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলাশাসক।

শনিবার রাত দশটা নাগাদ শিলাবৃষ্টি শুরু হয় উত্তর চব্বিশ পরগনায়। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল, দেগঙ্গা, শাসন, বেলিয়াঘাটা, কদম্বগাছি, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর, নৈহাটি, আমডাঙাসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় নষ্ট হয়েছে খেতের সবজি। ক্ষতি হয়েছে লক্ষাধিক কাঁচাবাড়ির।ভেঙে গেছে টালি বা অ্যাসবেসটসের ছাদ দেওয়া বহু বাড়িও। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পঞ্চাশ জন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা রবিবার সকালে বেশকিছুক্ষণ কল্যাণী হাইওয়ে অবরোধ করেন। জগদ্দল থানার কেউটিয়া গ্রামের কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। পরে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। পরিদর্শনে যান বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী এবং বামপ্রার্থী সুভাষিনী আলিও।

শনিবার রাত বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলা শিলাবৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে হুগলিতেও। চুঁচুড়া, পোলবা, চন্দননগরের একাংশ এবং পান্ডুয়ায় ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। খেতেই নষ্ট হয়েছে পটল, ঝিঙে, ভেন্ডি, পিঁয়াজ, লাউ, টমাটো, বেগুনসহ একাধিক সবজি। ক্ষতি হয়েছে আমচাষেরও।

পোলবা থানার রাজহাট এলাকায় মৃত্যু হয়েছে দুটি ময়ূরের। জখম হয়েছে আরও কয়েকটি ময়ূর। রবিবার সকালে ত্রাণের দাবিতে অবরোধ হয় তেইশ নম্বর রাজ্যসড়ক। শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে বর্ধমান ও কৃষ্ণনগের। বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার জামতাড়া, সোয়াতা গ্রামে দুশো কাঁচাবাড়ি ভেঙে গেছে। নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের ফসলও।

.