আমবাড়িতে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় নাম জড়াল অপর তৃণমূল নেতার
সালিশি সভায় দলীয় নেতা খুনে এক তৃণমূল নেতারই নাম জড়াল। স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতার নাম রঞ্জিত দাস। নিহত তৃণমূল নেতা হামিদকে তিনিই সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। বিচারাধীন বিষয়ে ওই সালিশি সভা ডাকার উদ্যোক্তাও ছিলেন এই তৃণমল নেতাই।
কোচবিহার: সালিশি সভায় দলীয় নেতা খুনে এক তৃণমূল নেতারই নাম জড়াল। স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতার নাম রঞ্জিত দাস। নিহত তৃণমূল নেতা হামিদকে তিনিই সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। বিচারাধীন বিষয়ে ওই সালিশি সভা ডাকার উদ্যোক্তাও ছিলেন এই তৃণমল নেতাই।
ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আমবাড়ি পঞ্চায়েতের বড়াইবাড়ি গ্রাম এখনও থমথমে। নিহত আব্দুল হামিদের বাড়ি থেকে মাঝে মাঝেই ভেসে আসছে কান্নার রোল। আমবাড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য দোলন তালুকদার। তাঁরই স্বামী রঞ্জিত দাস এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। সোমবার আব্দুল হামিদ ছিলেন তার দিদি কাঞ্চন বিবির বাড়িতে। অভিযোগ,সালিশি সভায় আসার জন্য রঞ্জিত সেখানেই বারবার ফোন করেন হামিদকে।
জব্বর মিঞার ছেলে-পুত্রবধূর অশান্তি নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। তবু সেই বিষয় নিয়েই বারবার সালিশি সভা ডাকা চলছিল। তৃণমূল নেতা রঞ্জিতই ছিলেন তার উদ্যোক্তা। আসতেন পঞ্চায়েত সদস্যরাও। সোমবার তৃতীয় সালিশি সভা চলাকালীনই ঘটে যায় অঘটন।
কিন্তু বিচারাধীন বিষয়ে এমন সালিশি সভা ডাকা হচ্ছিল কোন অধিকারে? কেনই বা সেখানে আসছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা? মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে বড়াইবাড়ির মুখে মুখে।