আব্দুল 'রইস' লতিফ!
একসময় গুজরাটের অলিগলি কাঁপত তার নামে। বেআইনি মদ ব্যবসায় সে ছিল 'রাজা'। ডন আব্দুল লতিফ! যার জীবনকেই এবার পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চ্যালেঞ্জ শাহরুখ 'বাদশা' খানের। যদিও ছবি নির্মাতাদের তরফে স্পষ্ট করে এ সম্বন্ধে কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু 'রইস'-এ শাহরুখের চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায় ডন লতিফের গল্পের অনেকখানি।
![আব্দুল 'রইস' লতিফ! আব্দুল 'রইস' লতিফ!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2016/12/10/72646-sharukhraees.jpg)
ওয়েব ডেস্ক : একসময় গুজরাটের অলিগলি কাঁপত তার নামে। বেআইনি মদ ব্যবসায় সে ছিল 'রাজা'। ডন আব্দুল লতিফ! যার জীবনকেই এবার পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চ্যালেঞ্জ শাহরুখ 'বাদশা' খানের। যদিও ছবি নির্মাতাদের তরফে স্পষ্ট করে এ সম্বন্ধে কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু 'রইস'-এ শাহরুখের চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায় ডন লতিফের গল্পের অনেকখানি।
কে ছিল এই আব্দুল লতিফ?
বলা হয়, চরম দারিদ্র্য আব্দুল লতিফকে ঠেলে দিয়েছিল অন্ধকার অপরাধ জগতের দিকে। গুজরাটে তখন ৮০-র দশকের শেষ। ৯০-এর শুরু। সেসময়ই বেআইনি মদ ব্যবসায় ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে লতিফ। জুয়ার আসরে লতিফ ছিল রাজা। গুজরাটের রাস্তায় লতিফের নাম শুনলে লোকে আতঙ্কে কাঁপত। বন্ধ হয়ে যেত কপাট। আমেদাবাদের বস্তিতে বড় হয়ে ওঠা লতিফ, জীবনে টাকা আর ক্ষমতার গুরুত্ব বুঝে গিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি। ভালোভাবে বাঁচার জন্য তখন তার কাছে টাকা...টাকা...আর টাকাই হয়ে ওঠে একমাত্র ধ্যানজ্ঞান।
লতিফের বাবা ছিলেন একজন তামাক ব্যবসায়ী। পাশাপাশি জুয়ার ঠেকেও কাজ করতেন তিনি। সংসারে ৭টা বাচ্চা। তাঁকে আর তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মোট ৯ জন। পেট চালানোর তাগিদেই জুয়ার ঠেকে কাজ যোগ দিয়েছিলেন লতিফের বাবা। আর এই জুয়ার ঠেক থেকেই জীবনে টাকা রোজগারের 'অন্ধকার' পথে হাতেখড়ি লতিফের। মনজুর আলি নামে এক জুয়ার ঠেক মালিক লতিফকে 'ব্যবসা' দেখার জন্য নিয়োগ করে। এরপর 'বুদ্ধি' খাটিয়ে খাটিয়ে ধীরে ধীরে লতিফ শুরু করে নিজের 'ব্যবসা'। ততদিনে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় 'লিঙ্কস' লতিফের হাতের মুঠোয়। বেআইনি মদ ব্যবসায় গুজরাটের 'একাধিপতি' হয়ে ওঠে আব্দুল লতিফ নাম।
'ডন' লতিফের সাম্রাজ্য যত বাড়তে থাকে, ততই বাড়তে থাকে লতিফের রাজনৈতিক 'দাক্ষিণ্য'ও। কিন্তু পরবর্তীতে এই রাজনীতির 'মারপ্যাঁচ'ই ডন লতিফের পতনের কারণ হয়ে দেখা দেয়। এছাড়া শোনা যায়, দাউদের সঙ্গে যোগাযোগও তার মাফিয়া সাম্রাজ্যের পতনের একটি বড় কারণ। ৯২-এর মুম্বই হামলায় নাকি অস্ত্র সরবরাহ করেছিল লতিফ। যদিও অভিযুক্ত ১৯৮ জনের নামের তালিকায় লতিফের নাম ছিল না। কিন্তু করাচিতে পালিয়ে যায় লতিফ।
লতিফের বিরুদ্ধে সেইসময় মোট ৯৭টি মামলা ঝুলছে। যার মধ্যে ১৫টিই খুনের। তিন বছর পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে থাকার পর, ১৯৯৫-এর ১০ অক্টোবর দিল্লির জামা মসজিদ এলাকায় লতিফকে গ্রেফতার করে ATS। এরও দুবছর পর জেল থেকে পালানোর সময় এনকাউন্টারে নিহত হয় একসময়ের গুজরাটের 'ত্রাস' ডন আব্দুল লতিফ।
এখন, 'রইস রহস্য' লতিফেই লুকিয়ে কি না তা দেখার জন্য ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা... উফ! শাহরুখ, শাহরুখ (রিলিজ হল রইসের ট্রেলর)