নাইসাকে চড়-থাপ্পড়ও মারতে হয়েছে, মেয়ের কাণ্ডকারখানা ফাঁস কাজলের
সাক্ষাৎকারেই উঠে এসেছে বিভিন্ন ব্যক্তিগত কথাবার্তাও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধনুশ এর সঙ্গে দক্ষিণী ছবি 'ভিআইপি'-তে অভিনয় করার পর ফের বলিউডে ফিরছেন কাজল। হাবি অজয় দেবগণের প্রযোজনা সংস্থার ছবি 'হেলিকপ্টর ইলা'তে অভিনয় করছেন শাহরুখের 'দিলওয়ালে' অভিনেত্রী। আপাতত সেই ছবির প্রমোশনেই ব্যস্ত তিনি। ছবির প্রমোশনের জন্যই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের নেওয়া সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে। আর এই সাক্ষাৎকারেই উঠে আসছে বিভিন্ন ব্যক্তিগত কথাবার্তাও।
প্রদীপ সরকার পরিচালিত 'হেলিকপ্টর ইলা' প্রতিপাদ্য বিষয় মা-ছেলের সম্পর্ক। ছবিতে বাঙালি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ঋদ্ধি সেনের মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে কাজলতে। এদিকে ব্যক্তিগত জীবনেও কাজল নাইসা ও যুগ দুই সন্তানের মা। তাই খুব স্বভাবতই ব্যক্তিগত জীবনেও মা ছেলের সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে কাজলের সাক্ষাৎকারে। কাজলকে প্রশ্ন করা হয় যুগ নাকি নাইসা কে বেশি দুষ্টু? এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রীর উত্তর যুগের থেকেও নাইসাই বেশি দুষ্টু। যেকারণে নাইসাকে বহুবার চড় থাপ্পড়ও খেয়ে হয়েছে। সেই তুলনায় যুগ অনেকটা শান্ত। আর এর পরেই কাজলকে প্রশ্ন করা হয় অভিভাবক হিসাবে কাজল নাকি অজয় কে বেশি শান্তভাবে বাচ্চাদের সামলান? আর এর উত্তরে কাজল কী বলেন জানেন?
আরও পড়ুন- টুইটারে ভুলবশত কাজলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর শেয়ার অজয়ের! তারপর?
''অবশ্যই কাজল। এই নিয়ে কোনও দ্বিমত হবে না। তবে যদি আপনারা অজয়কে এই একই প্রশ্ন করেন, তাহলে অজয় অবশ্যই নিজের কথাই বলবে। তবে হ্যাঁ অজয় অবশ্য অভিভাবক হিসাবে ভীষণই গুরুগম্ভীর। ''
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ থেকে অস্কারে গেল ইরফান খানের 'ডুব'
কিছুদিন আগেই কাজলকে তাঁর মেয়ের অভিনয়ে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন অবশ্য তিনি বলেন ''এই মুহূর্তে নাইসা সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করছে। ও ওর এই জীবন নিয়েই খুশি। ও (নাইসা) কখনওই অভিনয় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। তবে নাইসা ওর জীবনে যে পেশাকেই বেছে নিক, তাতে আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। এটা এক্কেবারেই ওর নিজের ইচ্ছের উপর নির্ভর করছে। তবে হ্যাঁ আমার সন্তানরা কখনওই আমায় কাজ করা থেকে বিরত রাখেনি। ওরা তাঁদের অভিনেত্রী মাকে নিয়ে ভীষণ খুশি ও গর্বিত।''
আরও পড়ুন-ফিরিঙ্গি সাহেবের সঙ্গে আলাপ হয়েছে? দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা...
প্রসঙ্গত, কাজলের আপকামিং ফিল্ম মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১২ অক্টোবর। ছবিটি সেপ্টেম্বর মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও পরিচালক প্রদীপ সরকার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় ছবি মুক্তি পিছিয়ে যায়।