Sonali Chowdhry : 'শ্যুটিংয়ে ছিলাম, হঠাৎই ফোন এল', মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেন সোনালী

'মা-ই আমার সাপোর্ট সিস্টেম। আমার নাচ, গান, যতটুকু যা হয়েছে সব মায়ের জন্য। আমার বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় মায়ের হাত ধরে, কারণ মা সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন, শিক্ষিকা ছিলেন। মা কবিতা মুখে বলে বলে শেখাতেন। বাংলা, ইতিহাস, এই বিষয়গুলি মা পড়ে পড়ে আমায় শোনাতেন, এভাবেই পড়া হয়ে যেত। সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ছে। মা আমার একটা সিরিয়াল যতবার রিপিট হবে ততবার দেখতেন। ' ফোনে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন সোনালী।

Reported By: রণিতা গোস্বামী | Updated By: Nov 9, 2022, 05:20 PM IST
Sonali Chowdhry : 'শ্যুটিংয়ে ছিলাম, হঠাৎই ফোন এল', মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেন সোনালী

Sonali Chowdhry,  জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : প্রয়াত অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরীর মা। হৃদয়ের সবথেকে কাছের মানুষকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। সোমবার রাতে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাঁর মা, সেসময় তিনি শ্যুটিংয়ে ছিলেন বলে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সোনালী বললেন, 'মা ঠিকই ছিলেন, সুস্থ ছিলেন, পুরো বিষয়টাই আচমকা ঘটে গেল, তাই মেনে নিতে পারছি না।' ফোনে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন সোনালী।

সোনালী জানান, 'মায়ের কিডনির সমস্যার কারণে ডায়ালিসিস চলছিল গত ৬মাস ধরে। তবে মা এমনিতে অ্যাক্টিভ ছিলেন, চলে যাওয়ার মতো কিছুই হয়নি। বাড়ির সবটাই মা-ই দেখতেন,সামাল দিতেন। আমি যে আবারও শ্যুটিং করছি, মা-ই আমার ছেলেকে দেখতেন। মায়ের জন্যই আমি আবারও কাজে ফিরতে পেরেছি। মায়ের হার্টের কোনও সমস্যা ছিল না কখনও। ওইদিন আমি শ্যুটিংয়ে ছিলাম, হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলল আসতে, গিয়ে দেখলাম মা আর নেই। বাবা, আমি, দিদি সবাই ছিলাম তখন।'

আরও পড়ুন-'ম্যায়নে কিয়া হ্যায় তুমসে প্যায়ার...', বক্সার নিখাতের প্রেমে হাবুডুবু সলমান!

সোনালী চৌধুরী বলেন, 'আমার জীবনে বন্ধু খুব কম, তবে মা আমার এমন একজন বন্ধু যাঁর সঙ্গে সব কথা শেয়ার করতে পারতাম। মাকে কিছু বলার আগেই সব বুঝে যেতেন। মা-ই আমার সাপোর্ট সিস্টেম। আমার নাচ, গান, যতটুকু যা হয়েছে সব মায়ের জন্য। আমার বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় মায়ের হাত ধরে, কারণ মা সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন, শিক্ষিকা ছিলেন। মা কবিতা মুখে বলে বলে শেখাতেন। বাংলা, ইতিহাস, এই বিষয়গুলি মা পড়ে পড়ে আমায় শোনাতেন, এভাবেই পড়া হয়ে যেত। সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ছে। মা আমার একটা সিরিয়াল যতবার রিপিট হবে ততবার দেখতেন। আমি হয়ত শ্যুটিং করছি, মা ফোন করে বলত, তোর ওই সিনেমাটা দেখছি। আমি হয়ত তখন বললাম, মা এটা তুমি প্রায় ১৮ বার দেখেছো। তখন বলল, তো কী হয়েছে, আবার দেখলাম। আবারও যখন কাজে যাব, মায়ের এই হঠাৎ ফোনগুলো মিস করব। যত লোক থাকুক, মা আমার বাচ্চাকে নিয়ে থাকতেন বলেই আমি নিশ্চিন্ত থাকতাম। সেই নিরাপদ জায়গাটা নড়ে গেল। মায়ের অনুপস্থিতি সব সময়ই থেকে যাবে। অনেক কিছু মাকে জিগ্গেস করতাম, এটা কী করা উচিত? সেটা আর করতে পারব না। আমার বেবি হওয়ার পর আমি ভাবছিলাম, আর কি কাজ করতে পারব! মা-ই তখন সাহস জুগিয়েছিলেন। কারণ, মাও শিক্ষিকা ছিলেন সরকারি স্কুলের, আমার দিদি আর আমায় মানুষ করার জন্য় সেটা ছেড়েছিলেন, সে জন্যই হয়ত মা চেয়েছিলেন আমি কাজটা করি। যদিও মা সেটা কখনও মুখে বলেননি। তবে আমি বুঝতাম।'

প্রসঙ্গত, গত বছরই পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী সোনালী চৌধুরী। এই মুহূর্তে 'বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি' ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সোনালী। 

.